ছবি পিটিআই।
ঠিক পুজোর ছবি বলতে যা বোঝায়, তা এ বার ছিল না। পুজোর চেনা নাম যেমন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বা অরিন্দম শীল, ছিল না কারও ছবি। কিন্তু সাত মাস বন্ধ থাকার পরে সিনেমা হল খুললে জনতা পা রাখবেন, সেই প্রত্যাশা ছিল হল মালিকদের। দর্শকও পুরোপুরি হতাশ করেননি তাঁদের।
হিন্দি ছবির চাপ ছিল না কিন্তু একগুচ্ছ বাংলা ছবি ছিল। ‘ড্রাকুলা স্যার’, ‘রক্ত রহস্য’, ‘গুলদস্তা’, ‘শিরোনাম’, ‘এসওএস কলকাতা’ প্রভৃতি। নবীনা সিনেমা হলের মালিক নবীন চৌখানি জানালেন, তাঁর হলে ‘ড্রাকুলা স্যার’ বেশ ভাল পারফর্ম করেছে। ‘রক্ত রহস্য’ বা ‘গুলদস্তা’ ফ্যামিলি ড্রামা। যেহেতু কমবয়সিরাই প্রেক্ষাগৃহে ভিড় করেছেন, তাই তাঁদের আগ্রহ ‘ড্রাকুলা স্যার’ নিয়ে বেশি ছিল। নবীন চৌখানির কথায়, ‘‘পুজোর ক’দিনের দর্শক সমাগমে এটা স্পষ্ট যে, মানুষ সিনেমা দেখতে চাইছেন। তাঁরা সবচেয়ে আগে সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেন। যে ভাবে সিনেমা হলে সুরক্ষাব্যবস্থা মেনে চলা হচ্ছে, তাতে দর্শক সন্তুষ্ট। দ্বিতীয় জরুরি বিষয় হল কনটেন্ট। ভাল ছবি এলে দর্শকও আসবেন।’’
একই কথা বলছেন বেহালার অজন্তা সিনেমা হলের মালিক শতদীপ সাহা। ব্যবসা নিয়ে সন্তুষ্ট নন তিনি। ‘‘দর্শকসংখ্যা বাড়াতে গেলে ভাল ছবি দরকার। এ বারের পুজোয় তেমন কোনও ছবি ছিল না,’’ স্পষ্ট কথা তাঁর। তবে বাকি সব বাংলা ছবির মধ্যে ‘ড্রাকুলা স্যার’ ভাল পারফর্ম করেছে বলেই জানালেন তিনি। তার পরে ‘রক্ত রহস্য’। আইনক্স মাল্টিপ্লেক্সের তরফেও জানানো হয়েছে যে, ‘ড্রাকুলা স্যার’ ভাল ব্যবসা করেছে।
পুজোয় জনতার একটা বড় অংশ সিনেমা হলে বিনোদন খুঁজেছিলেন, বলে মত হল মালিকদের একাংশের। তবে কলকাতা শহর ও সংলগ্ন এলাকায় সিনেমা হলের ভিড়ের ছবিটা মফস্সলে ছিল না। প্রিয়া সিনেমার মালিক অরিজিৎ দত্তের মতে, ‘‘পুজোয় যে ধরনের ছবি প্রয়োজন হয়, সেটা ছিল না। সে কারণে দর্শকও ততটা উৎসাহ দেখাননি। তবে মোটামুটি ভিড় হয়েছে। আমজনতা সুরক্ষা নিয়ে অন্তত ভয় পাচ্ছেন না। সিনেমা হল বাঁচাতে গেলে বড় ছবি প্রয়োজন।’’
সামনে দীপাবলি। ‘প্রেম টেম’ ‘সুইৎজ়ারল্যান্ড’ এবং হরনাথ চক্রবর্তীর নাম ঠিক না হওয়া একটা ছবি থাকবে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বিগ বাজেটের হিন্দি ছবি না থাকাটা ভাবাচ্ছে সিনেমা হল মালিকদের।