রূপঙ্করের সমর্থনে মুম্বই-কলকাতার শিল্পীদের নিয়ে তুলনায় দ্রোণ
আরও এক বার রূপঙ্কর বাগচীর সমর্থনে মুখ খুললেন দ্রোণ আচার্য। উদাহরণ হিসেবে এ বার পরিচালক উচ্চারণ করলেন কুমার শানু, অরিজিৎ সিংহ, শ্রেয়া ঘোষালের নাম। ব্যঙ্গের সুরে জানালেন কলকাতায় গানবাজনা করলে কুমার শানু, অরিজিৎ সিংহ, শ্রেয়া ঘোষাল কিছুতেই এ রকম গান গাইতেই পারতেন না! যেন বোঝাতে চাইলেন, এই তিন বাঙালি শিল্পীর গায়ে বলিউডের তকমা। তাই ওঁদের গানের এত জনপ্রিয়তা, প্রশংসা। বাংলায় একই গান গাইলে এ রকম কদর বোধহয় তাঁরাও পেতেন না। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, জাতীয় পুরস্কার তো সান্ত্বনা পুরস্কার!
বুধবার সিংহভাগ নেটব্যবহারকারী যখন রূপঙ্করের ঘোর বিরোধী তখন দ্রোণ ফেসবুকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী গায়ককে। তাঁর মতে, ‘কোন জায়গা থেকে, কতটা অভিমান জমলে রূপঙ্কর বাগচী লাইভ করলেন সেটা এক বার ভেবে দেখবেন।’ এও জানিয়েছিলেন, দ্রোণের কথায়, অভিমানটা বাংলা এফএম রেডিয়োতে বাংলা গান না বাজানোর। অভিমান সুরকারদের বলিউড ঝোঁক। রাগ অনুষ্ঠান আয়োজকদের প্রতিও। যাঁরা শেষ ধাপে অনুষ্ঠান সফল করতে মঞ্চ ছেড়ে দেন মুম্বইয়ের তারকা গায়কদের। পাশাপাশি, ফেসবুকও কিছু ভিডিয়ো নিজের দর্শকসংখ্যা বাড়াতে ভাইরাল করে। তাই নেটব্যবহারকারীদের প্রতি তাঁর অনুরোধ, সেই ফাঁদে যেন কেউ পা না দেন। বৃহস্পতিবার দ্রোণ আরও কড়া। তাঁর বক্তব্য, কলকাতায় থাকাকালীন শানু, অরিজিৎ বা শ্রেয়া মুম্বইয়ে গান গেয়ে যে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তা যদি কলকাতায় গেয়ে জনপ্রিয়তা পেতেন তবে তাঁদের গুণগত মান সম্পর্কে ধারণা হত। দ্রোণের সংশয় কলকাতায় ওই একই গান গাইলেও তাঁরা মুম্বইয়ের মতো জনপ্রিয়তা কি পেতেন?
এর পরেই তাঁরও রূপঙ্করের মতোই অভিমান, বাঙালি শিল্পীদের একাংশ মনে করে কলকাতায় থাকা কেউই মুম্বইয়ের শিল্পীদের মতো গাইতে বা কাজ করতে পারে না! তাই ‘এ তুমি কেমন তুমি’ গায়কের প্রতি তাঁর অনুরোধ, ‘মেনে নাও, দোষ মুম্বইয়ের শিল্পীদের নয়। দোষ কলকাতার শিল্পীদের।’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।