ওটিটিতে শিনা বরা হত্যা মামলা। —ফাইল চিত্র।
২০১২ সাল থেকে সূত্রপাত ঘটনাপ্রবাহের। ২০১৫ সালে নিজের মেয়ে শিনা বরাকে হত্যার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁর মা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে নাকি প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খন্না ও গাড়িচালক শ্যাম রাইয়ের সঙ্গে পরিকল্পনা করে মেয়ে শিনাকে খুন করেছিলেন ইন্দ্রাণী, দাবি করে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৫ সালে গ্রেফতার হন ইন্দ্রাণী। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জীব ও শ্যামকেও। সিবিআই দাবি করে, নিজের তৎকালীন স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়ের ছেলে রাহুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মেয়ে শিনার সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি ইন্দ্রাণী। সেই রাগ থেকেই নাকি শিনাকে খুন করার ছক কষেছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে গ্রেফতার হওয়ার প্রায় সাত বছর পরে ২০২২ সালে অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের কাছে জামিন পান ইন্দ্রাণী। বছর দেড়েক আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। এ বার মুক্তি পেতে চলেছে শিনা বরা মামলার উপর ভিত্তি করে তৈরি এক তথ্যচিত্র। সেই সিরিজ়ের নাম, ‘দি ইন্দ্রাণী মুখার্জি স্টোরি: ব্যারিড ট্রুথ’। ২৯ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে তথ্যচিত্রের পোস্টার। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে সেই সিরিজ়।
২০২২ সালে জেলমুক্তির পরে গত বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালে মুক্তি পেয়েছে ইন্দ্রাণীর আত্মজীবনীমূলক বই, ‘আনব্রোকেন: দি আনটোল্ড স্টোরি’। সেই বইয়ে ইন্দ্রাণী দাবি করেন, মামলা চলাকালীন সংবাদমাধ্যমের চরম নিষ্ঠুরতার কোপে পড়েছিলেন তিনি। মামলা চলাকালীনই ২০১৯ সালে তৎকালীন ও তৃতীয় স্বামী পিটারের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ইন্দ্রাণীর।
২০১২ সালের এপ্রিল মাসে নিখোঁজ হন শিনা। চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে নাকি বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছিলেন তিনি, দাবি করেছিলেন ইন্দ্রাণী। মে মাসে মহারাষ্ট্র থেকে উদ্ধার হয় শিনার নিথর দেহ। ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব ও তাঁর গাড়িচালক শ্যাম জেরার মুখে স্বীকার করেছিলেন শিনাকে খুন করার কথা। যদিও ইন্দ্রাণী দাবি করেছিলেন, তাঁর মেয়ে নাকি কাশ্মীরে আছেন। কোনটা সত্যি, আর কোনটাই বা নয়— নির্মাতাদের দাবি, ঘটনাপ্রবাহ অনুসরণ করে সেই প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করবে ‘দি ইন্দ্রাণী মুখার্জি স্টোরি: ব্যারিড ট্রুথ’ সিরিজ়।