ডকুফিচারটির একটি দৃশ্য
নাচের পাঠ নেননি কারও কাছে, অথচ গোটা ভুবনের সামনে তাঁর প্রথম পরিচয় নৃত্যশিল্পী। তিনি উদয়শঙ্কর। তাঁকে নিয়ে একটি ডকুফিচার তৈরি করলেন দিশারী চক্রবর্তী। প্রযোজনায় ফিল্ম ডিভিশন অব ইন্ডিয়া। নৃত্যশিল্পী উদয়শঙ্কর নন, বরং তাঁর জীবনের চারটি পর্যায়কে ধরে চার ধারার উদয়শঙ্করের গল্প রয়েছে এই ডকুফিচারটিতে। এক-একটিতে অভিনয় করছেন এক-এক জন অভিনেতা। প্রথম উদয়শঙ্কর একজন চিত্রকর। শৈশবে যাঁর আঁকা শেখা অম্বিকাচরণ মুখোপাধ্যায়ের কাছে। বয়স আঠারোয় পড়লে যাঁকে পাঠানো হয় মুম্বইয়ে। চিত্রণ নিয়ে আরও উচ্চতর পাঠের জন্য। এর পর ব্যারিস্টার বাবার ডাকে লন্ডন। তখন তেইশের যুবক। বাবা তাঁকে নিয়ে যান রয়্যাল কলেজ অব আর্ট-এ। সেখানে শুরু হয়ে চিত্রকলার আরও এক পাঠ। তার আগে, শৈশবে উদয়ের জীবনে পরিচয় আদিবাসী মাতাদিনের সঙ্গে। যাঁর লোকনাচ দেখে বাড়িতে অভ্যেস করতেন উদয়। যে ঘটনার একমাত্র সাক্ষী তাঁর মা। ঘুণাক্ষরে জানতেন না বাবাও। চিত্রণে যখন তাঁকে পেয়ে বসেছে, মগ্ন থাকতেন একটি চিন্তায়, এই মাধ্যমকে কী ভাবে চলমান করা যায়। হয়তো বা সেখান থেকেই তাঁর নাচের বিভিন্ন ধারা খুঁজে বেড়ানো। এই ভাবনাটি তীব্র হয় হয়তো লন্ডনে বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী আনা পাভলোভার সঙ্গে আলাপের পর। শুরু হয়ে যায় তাঁর খোঁজ। ছবির দ্বিতীয় উদয়শঙ্কর এই সন্ধানী শিল্পী। তৃতীয় উদয়শঙ্কর চিত্রপরিচালক। তবে সেই শাখাতেও আছে নাচ, কিন্তু শিকড়ে সেই চিত্রণ। এর পর আসেন আসেন ছবির চতুর্থ উদয়শঙ্কর। ৫২ মিনিটের এই ডকুফিচার ‘এ লাইফ ইন ডান্স’-এ এ ভাবেই এসেছে উদয়শঙ্করের আখ্যান। ছবির স্ক্রিপ্ট অনিন্দ্য সমাজদারের। ৫ মে, সন্ধে ৬টায় নন্দনে দেখানো হবে এই ডকুফিচার।