সলমনের সঙ্গে আট বছরের সম্পর্ক ছিল তাঁর। সলমনই তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন অভিনয়ে। সুনীল শেট্টি, মিঠুন, গোবিন্দা, সঞ্জয় দত্ত প্রত্যেকের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই সোমি আলি এখন কী করছেন?
সোমি আলি বহু বছর সিনেমা থেকে দূরে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইদানিং বেশ সক্রিয় তিনি। কোথায় হারিয়ে গেলেন তিনি?
সোমির সঙ্গে সলমনের গভীর প্রেম ছিল, এমনটাই জানত বি টাউন। ১৯৯৯ সালে ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির সেটে সলমনের ঘনিষ্ঠতার কারণেই নাকি সোমির সঙ্গে সলমনের দূরত্ব বেড়েছিল।
সোমির জন্ম পাকিস্তানের করাচিতে। বাবা পাকিস্তানি হলেও মা ইরানি। ১৬ বছর বয়সে মডেলিং শুরু করেন তিনি। ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবি দেখেই তিনি সলমনের গুণমুগ্ধ হয়ে উঠেছিলেন। সেই টানেই নাকি বলিউডে এসেছিলেন সোমি।
বলিউড থেকে দূরে গিয়ে আমেরিকার নোভা সাউথ-ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে মনোস্তত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি।
আমেরিকায় মানবাধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেন। তথ্যচিত্র নির্মাণের সঙ্গেও যুক্ত হন।
‘নো মোর টিয়ার্স’, ‘সো মি ডিজাইনস’ নামে বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেন সোমি। আমেরিকায় শরণার্থীদের নিয়েও কাজ করেন তিনি। ২০০৭ সাল থেকে ১১ জন দুঃস্থ মহিলাকে তাঁদের সন্তান-সহ উদ্ধার করেছে সোমির সংস্থা।
বলিউডে তাঁর ডেবিউ হয়েছিল ‘অন্ত’ ছবিটির মাধ্যমে। মোট ১০টি বলিউড ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।
২০১১ সালে আমেরিকার হেরিটেজ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সোমি শরণার্থীদের নিয়ে কাজের জন্য। ২০১৫ সালের এপ্রিলে পেয়েছেন দ্য ডেইলি পেয়ন্ট অব লাইট অ্যাওয়ার্ড। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও জর্জ বুশও তাঁর সংস্থার কাজ নিয়ে প্রশংসা করেছেন।
সম্প্রতি মিটু আন্দোলন নিয়ে বলিউড যখন সরব হল, তখন সোমিও মুখ খুলেছিলেন। পাঁচ বছর বয়সে তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছিল, এ কথা সম্প্রতি প্রকাশ্যে আনেন তিনি।