রামগোপাল বর্মার বহু ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। অভিনয়ও দর্শকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। এক সময় বলিউডের ‘সেক্স সিম্বল’ ছিলেন। অথচ ২০১৩ সালের পর থেকে আর বড়পর্দায় দেখাই যায়নি তাঁকে। তিনি নিশা কোঠারি।
নিশা কোঠারির জন্ম পশ্চিমবঙ্গে। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবা ব্যবসা সূত্রে দিল্লি চলে যান। নিশাও তখন থেকে দিল্লিতে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক হন।
কলেজ পাশ করার পরই নিশা মডেলিং-য়ে চলে আসেন। বেশ কিছু নামী ব্রান্ডের বিজ্ঞাপনে তাঁকে দেখা গিয়েছে। ২০০৩ সালে একটি রিমিক্স ভিডিয়োয় নিশা প্রথম নজরে আসেন। তারপর বহু তামিল ছবিতে অভিনয় করেছেন।
নিশা বলিউডে পা দেন ২০০৫ সালে। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ‘সরকার’ ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করেন। এর পর তিনি রামগোপাল বর্মার ‘জেমস’-এ অভিনয় করেন। এই ছবিই রাতারাতি তাঁকে হিট নায়িকা বানিয়ে ফেলে। তারপর ইমরান হাসমির সঙ্গে ‘কিলার’ ছবিতে অভিনয় করেন।
এর পর পরিচালক রামগোপাল বর্মা পরপর তাঁকে নিজের ছবিতে সুযোগ দিতে থাকেন। ‘শিবা’, ‘ডরনা জরুরি হ্যায়’, ‘আগ’, ‘ডার্লিং’-এর মতো আরও অনেক ছবিতে অভিনয় করেন নিশা।
তাঁকে শেষ স্ক্রিনে দেখা গিয়েছিল ২০১৩ সালে, একটি তামিল ছবিতে। আর বলিউডে নিশার শেষ ছবি ছিল ২০১১ সালে ‘বিন বুলায়ে মেহমান’। আচমকাই কেন তিনি বড়পর্দা থেকে সরে গেলেন?
অনেকেই মনে করেন, এর পিছনে তাঁর পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। সমস্যার সূত্রপাত নিশার স্বামীকে নিয়ে। নিশা যাঁর সঙ্গে ডেট করতেন সে সময়, সেই ভাস্কর প্রকাশ ভিন্ন জাতের ছিলেন। আর নিশা নাছোড়বান্দা ছিলেন ভাস্করকে বিয়ে করার জন্য।
রক্ষণশীল পরিবার হওয়ায় কোনও দিনই নিশার এই দাবি মানেনি তাঁর পরিবার। ২০১৬ সালে নিশা-ভাস্কর বিয়ে করেন। জানা গিয়েছিল, নিশার বাবা এতটাই নারাজ ছিলেন বিয়েতে যে, তার পর থেকে নিশার সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখেননি।
এমনকি মুম্বইয়ে যে ফ্ল্যাটে নিশা থাকতেন, সেই ফ্ল্যাট থেকেও তাঁকে বার করে দিয়েছিলেন বাবা। ফ্ল্যাটটি ছিল নায়িকার বাবার নামে। শোনা যায়, ফ্ল্যাটের চাবি এবং গাড়ির চাবি নিশার কাছ থেকে নিয়ে ফ্ল্যাটের সেক্রেটারির কাছে রেখে দিয়েছিলেন।
নিশা যদিও কোনও দিন পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। নিশার বাবাও বারবার এই বিষয়টা এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে ঘটনা যে সত্যি তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন ফ্ল্যাটের সেক্রেটারি।
নিশা বর্তমানে কী করছেন? নিশা বর্তমানে দিল্লিতেই রয়েছেন। স্বামী ভাস্করের সঙ্গে সুখে সংসার করছেন।