অমিতাভ বচ্চন এবং রেখার প্রেম কাহিনি সকলের জানা। কিন্তু জানেন কি অমিতাভ বচ্চন তাঁর মন শুধু রেখাকেই দেননি। এক সময় অমৃতা সিংহের প্রতিও তীব্র আকর্ষণ জন্মেছিল অমিতাভের মনে।
অমৃতাকে তিনি নাকি এতটাই পছন্দ করতে যে শ্যুটিংয়ের বাইরে তাঁকে অন্য নায়কের সঙ্গে দেখতে একেবারেই পছন্দ করতেন না অমিতাভ।
আর এই ভাল লাগা থেকেই নাকি এক বার এক পার্টিতে অমৃতার সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করে ফেলেছিলেন তিনি!
শোনা যায়, সেই পার্টিতে অমৃতাকে জোর করে চুমু খান অমিতাভ। পরে যদিও এমন আচরণের জন্য অমৃতার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
১৯৯১ সালে এক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিল এই খবর। অমিতাভ এবং অমৃতা দু’জনেই তখন সুপার স্টার। সে সময় বলিউডে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করছেন অমৃতা।
অমৃতার সঙ্গে কখনও রবি শাস্ত্রী এবং কখনও বিনোদ খন্নার নাম জড়িয়ে গসিপও চলছে জোর কদমে। এ সব কানে এলেও কোনও দিন এ নিয়ে মন্তব্য করেননি অমিতাভ।
ওই পার্টিতে ফিল্ম জগতের অনেকেই হাজির ছিলেন। অমিতাভ তাঁর সে সময়ের বন্ধু ড্যানির সঙ্গে গল্প করছিলেন। কিন্তু তাঁর চোখ ছিল কিছু দূরে থাকা অমৃতার উপর।
পার্টি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অমৃতা তাঁদের কাছে যান। অমিতাভ তাঁকে আরও কিছু ক্ষণ থেকে যেতে অনুরোধ করেন। অমৃতা অনুরোধ রেখেছিলেন এবং সেখানেই তাঁদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন।
মূলত ড্যানির সঙ্গেই নাকি কথা বলছিলেন অমৃতা। এক সময় ড্যানি এবং অমৃতা দু’জনে মঞ্চে নাচতে চলে যান। এ সবই দাঁড়িয়ে দেখছিলেন অমিতাভ।
ড্যানির সঙ্গে অমৃতাকে নাচতে দেখে একেবারেই ভাল লাগছিল না বিগ বি-র। আচমকাই তিনি একটি কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন। মঞ্চে উঠে অমৃতার হাত ধরে নিজের দিকে টেনে তাঁকে চুমু খান।
পার্টিতে সকলের চোখেই তখন বিস্ময়। আকস্মিক এই ঘটনায় সকলেই তখন একটা ঘোরের মধ্যে। ঘোর কাটিয়ে অমৃতাও লজ্জায় এবং রাগে পার্টি ছেড়ে রেস্ট রুমে চলে যান।
বিষয়টি যে ঠিক হয়নি তা ভাল ভাবেই বুঝেছিলেন অমিতাভ। পরে অবশ্য অমৃতার কাছে এর জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন। কিন্তু কেন অমিতাভ এমন কাণ্ড করে বসলেন তা নিয়ে জলঘোলা শুরু হয় সংবাদমাধ্যমে।
সে সময় এমন খবরও সামনে আসে যে অমৃতা তখন বিনোদ খন্নার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছিলেন। যা একেবারে পছন্দ ছিল না অমিতাভের। শোনা যায়, অমৃতা আর বিনোদের সম্পর্ক ভাঙার পিছনেও অমিতাভের হাত ছিল। অমৃতার মায়ের কাছে বিনোদের নামে নানা কথা বলতেন অমিতাভ।
এই ঘটনা নিয়ে অবশ্য অমৃতা কোনও দিন কোনও মন্তব্য করেননি। পরে বিনোদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভেঙেও গিয়েছিল।
বিনোদ ছাড়া অমৃতার সঙ্গে এক সময় সম্পর্ক হয়েছিল ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রীর। ১৯৯০ সালে রবি শাস্ত্রী বিয়ে করেন ঋতু সিংহকে। তার পরের বছরই বয়সে ১২ বছরের ছোট সইফ আলি খানের ঘরনি হন অমৃতা।
সইফকে বিয়ের পরে অভিনয় ছেড়ে দেন অমৃতা। ইন্ডাস্ট্রিকে কিছুটা অবাক করে দিয়েই তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায় ২০০৪ সালে। ৯ বছরের মেয়ে আর ৩ বছরের ছেলেকে নিয়ে স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে যান তিনি।
বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর থেকে একাই আছেন অমৃতা। সিঙ্গল পেরেন্ট হয়ে বড় করেছেন দুই সন্তানকে।