Ditipriya Roy

লকডাউন মানতে বলায় দিতিপ্রিয়াকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ, পাল্টা জবাব ‘রানি মা’র

টলিগঞ্জ এলাকায় দিতিপ্রিয়া যেখানে থাকেন সেখানে তাঁর বাড়ির সামনের মাঠে লকডাউনের সময় পাড়ার বেশ কিছু ছেলের নিয়মিত আড্ডার প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁর বাবা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২০ ২০:১৮
Share:

দিতিপ্রিয়া রায়

চলছে লকডাউন। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরনো বারণ। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে পাড়ার মোড়ে আড্ডা, জটলা থামছেই না। এ বার তার প্রতিবাদ করেই প্রতিবেশীদের একটি অংশের কদর্য ভাষার শিকার হতে হল অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়কে।

টলিগঞ্জ এলাকায় দিতিপ্রিয়া যেখানে থাকেন সেখানে তাঁর বাড়ির সামনের মাঠে লকডাউনের সময় পাড়ার বেশ কিছু ছেলের নিয়মিত আড্ডার প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁর বাবা। এ ভাবে লকডাউন অমান্য করলে পুলিশ ডাকার ভয়ও দেখিয়েছিলেন তাদের।

ঘটনাচক্রে সে দিনই টহল দেওয়ার সময় সেই ছেলেদের আড্ডা দিতে দেখে নিষেধ করে পুলিশ। এর পরেই শুরু হয় দিতিপ্রিয়া ও তাঁর পরিবারের উপর কদর্য আক্রমণ। অভিনেত্রীই নাকি প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ পাঠিয়েছেন, এমন দাবি করে পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Advertisement

দেখুন দিতিপ্রিয়ার পোস্ট

এখানেই শেষ নয়, তাঁর পেশা নিয়েও আসতে থাকে নানা কুরুচিকর মন্তব্য। ‘আগামী ছ’মাস তো পেটে ভাত জুটবে না… ফ্ল্যাটের সঙ্গে কি মাঠটাও কিনে ফেলেছে... রাতের তারা দিনে হারিয়ে যাবে’, এমনই নানা কমেন্ট জমতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এ ব্যাপারে আনন্দবাজার ডিজিটালকে দিতিপ্রিয়া বলেন, ‘‘আমার পাড়া আমার খুব কাছের, যাদেরকে ছোটবেলা থেকে দাদা হিসেবে চিনে এসেছি, যে স্যরের কাছে আমি ছোটবেলায় পড়তে যেতাম, আজ তারাই এ সব বলছে দেখে আমি হতবাক! আমি এবং আমার পরিবার চেয়েছি আমার পাড়া যাতে সুরক্ষিত থাকে, সবাই যাতে সুস্থ থাকে। আমি চাই না আমার দেশটা ইটালি হয়ে যাক। সে জন্যই বাবা ওদের আড্ডা দিতে বারণ করেছিল। আমি পুলিশ ডাকব! এত ক্ষমতা আমার? পুলিশ তাদের কাজ করেছে। আবারও
বলছি, আমি যদি দেখি লকডাউনের নিয়ম ভাঙা হচ্ছে, তা হলে আমি আবার প্রতিবাদ
করব।’’

ফেসবুকেও একটি পোস্ট করেছেন দিতিপ্রিয়া। সেখানেও তাঁর বক্তব্য, ‘মাঠ বা পুলিশ কোনওটাই আমার বাবার সম্পত্তি নয়, তবে সংক্রমণ রুখতে প্রতিবাদ আমি চালিয়ে যাব, থামব না...।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement