দিতিপ্রিয়া রায়
সমুদ্র সৈকতের হাওয়া চুল উড়িয়ে দিচ্ছে থেকে থেকে। চোখের সামনে আকাশের রঙ পরিবর্তন হচ্ছে। জলের গন্ধ নাকে। চুপচাপ সমুদ্রের ধারে বসে থাকতে ইচ্ছে করে।
কিন্তু এখানে দৃশ্য একটু অন্য রকম। চোখ রয়েছে খাতায়। হাত রয়েছে কলমে। ঘড়ির কাঁটা চোখ রাঙাচ্ছে। ঢেউয়ের শব্দ লেখায় মন বসতে দিচ্ছে না।
পরীক্ষা দিচ্ছেন অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়। কলেজের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা বলে কথা!
সমুদ্রের জলে দিতিপ্রিয়া
সৈকতের এক দিকে তাঁর বন্ধুবান্ধব ও পরিবার নাচ গান করে মাতিয়ে রেখেছিলেন তাজপুর। অন্য দিকে সমস্ত হাতছানি এড়িয়ে ছাউনির এক প্রান্তে বসে এক ঘণ্টা ধরে প্রশ্নের উত্তর লিখেছিলেন তিনি।
দিতিপ্রিয়া সেই বিচিত্র পরীক্ষা দেওয়ার গল্প বললেন আনন্দবাজার ডিজিটালকে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরীক্ষা ছিল সে দিন। নম্বর প্রকাশ পেয়েছে দিন কয়েক আগে। ৭৭ পেয়েছেন তিনি। আর সমাজবিজ্ঞানে? ৮০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইংরেজিতে ৯০। ফলাফলে যথেষ্ট খুশি অভিনেত্রীর পরিবার।
তাজপুরের সমুদ্রসৈকতে ভূপাল-গদাধর-রানিমা
কিন্তু কম বিপত্তি হয়নি সে দিন। খাতায় লিখে মুঠোফোনে ছবি তুলে পাঠাতে হচ্ছিল। পরীক্ষার শেষে দিতিপ্রিয়ার নজরে পড়ল, তাঁর ফোনের ব্যাটারি নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। ছুটে গিয়ে গাড়ি থেকে ফোন চার্জ দিয়ে ছবি তুলে পরীক্ষার উত্তর পাঠাতে হয়েছিল তাঁকে। অভিনেত্রী হাসতে হাসতে স্মৃতিচারণ করলেন, ‘‘আমার দাদা সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু তখন আমার মাথা কাজ করছিল না। চিৎকার করেছিলাম ওর উপরে।’’
আশুতোষ কলেজ থেকে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছেন দিতিপ্রিয়া। অতিমারির প্রভাবে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। তাই বাড়ি থেকেই ডিজিটাল মাধ্যমে ক্লাস করেন তিনি। পরীক্ষাও দিতে হয় বাড়ি বসেই।