সূত্র মারফত আগেই খবর পাওয়া গিয়েছিল, শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের এই সিরিজে দিতিপ্রয়া রায়ের সঙ্গে জুটি বাঁধার কথা ছিল অভিনেতা সৌরভ দাসের। তার পরে ‘কী হইতে কী হইয়া গেল’, সৌরভের জায়গা নিলেন সুহোত্র মুখোপাধ্যায়। কারণ কী? জানা যায়নি নির্মাতা বা কলাকুশলীদের তরফ থেকে।
সৌরভ-সুহোত্র-দিতিপ্রিয়া
মুম্বই থেকে একেবারে গ্রাম বাংলা। দিতিপ্রিয়া রায়ের নতুন সফর শুরু। নতুন নায়ক, নতুন প্রেম, নতুন জায়গা, নতুন গল্প। বহু দিন পর প্রেমে দিতিপ্রিয়া। শেষ বার প্রেমে পড়েছিলেন ‘মুক্তি’ সিরিজে। তার পরে ভাই-বোনের গল্পে কাজ করেছেন দিতিপ্রিয়া। 'স্টোরিজ অন দ্য নেক্সট পেজ'- এ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভাই-বোনের জুটি।
কিন্তু এ বার ‘একেনবাবু’র সঙ্গী সুহোত্র মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৈরি হবে রসায়ন। প্রেমের রসায়ন। তাঁদের নতুন রসায়নের সাক্ষী হবেন কাঞ্চন মল্লিক। তবে গোপন নয়। আগামী মে মাস থেকে সেই প্রেমের যাত্রা শুরু। তার মাস কয়েকের মধ্যেই দিতিপ্রিয়া-সুহোত্রর প্রেম ফুটে উঠবে পর্দায়। দেখবে সকলে। জানবে সবাই। গল্পের নাম, ‘ডাকঘর’। ওয়েব সিরিজের ধাঁচে মুক্তি পাবে ‘হইচই’তে। পরিচালনায় ‘উড়নচণ্ডী’র নির্দেশক অভিষেক সাহা। অভিনয়ে রয়েছেন আরও অনেকে। কাঞ্চনের স্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যাবে পারমিতা মুখোপাধ্যায়কে। তা ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন অতনু বর্মন, তপতী মুন্সীর মতো শিল্পীরা।
এ দিকে সূত্র মারফত আগেই খবর পাওয়া গিয়েছিল, শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের এই সিরিজে দিতিপ্রয়ার সঙ্গে জুটি বাঁধার কথা ছিল অভিনেতা সৌরভ দাসের। তার পরে ‘কী হইতে কী হইয়া গেল’, সৌরভের জায়গা নিলেন সুহোত্র। কারণ কী? জানা যায়নি নির্মাতা বা কলাকুশলীদের তরফ থেকে।
আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করল দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে। তাঁর কথায়, ‘‘সুহোত্র দুর্দান্ত এক অভিনেতা। ‘মুক্তি’ সিরিজে তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি আমি। যদিও আমাদের একসঙ্গে কোনও দৃশ্য ছিল না। কিন্তু ওঁর অভিনয় দেখেছি ‘গোরা’তেও। মুগ্ধ হয়েছি। একসঙ্গে কাজ শুরু হবে আমাদের। উত্তেজনা তো রয়েইছে। সঙ্গে কাঞ্চনদাও রয়েছেন। নানা ধরনের কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি আমি। সৌভাগ্যবান মনে করি নিজেকে।’’
একটি গ্রামের গল্প। যেই গ্রামে নতুন একটি ছেলে আসে। তার শিকড়ে ফিরে যাওয়ার আগ্রহ তৈরি হয়। ছেলেটির বাবা সেই গ্রামেরই পোস্টমাস্টার ছিল। বাবা-মা আর নেই, রয়ে গিয়েছে সেই গ্রাম এবং গ্রামের মানুষ। নিজেকে নতুন ভাবে খুঁজে পাওয়ার যাত্রা শুরু হয় তার। কিছু পুরনো চিঠি এবং পার্সেল ডাকঘরে রয়ে গিয়েছিল। তার বাবার অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে থাকে ছেলেটি। সেখানেই আলাপ একটি মেয়ের সঙ্গে। প্রেম হয় তাদের। একইসঙ্গে চলতে থাকে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নতুন যোগাযোগ।