সুশান্ত এবং দিশা।
মৃত্যুর ন’দিন পরেও সচল ছিল সুশান্ত সিংহ রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের ফোন। বিশেষ সূত্র বলছে, জুন মাসের ৯ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত সেই ফোন থেকে একাধিক ইন্টারনেট কলও করা হয়েছে। দিশার মৃত্যুর পরেও কে বা কারা তাঁর নম্বর থেকে ফোন করল?
৮ জুন সুশান্তের মৃত্যুর দিন কয়েক আগে মারা যান দিশা। মুম্বই পুলিশ এবং দিশার পরিবার জানিয়েছিল, বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দিশা। দিশা এবং সুশান্তের মৃত্যুর কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা যখন বারেবারেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন মৃত্যুর পরেও দিশার ফোন চালু থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বেড়েছে চাঞ্চল্য।
যদিও দিশার পরিবারের বক্তব্য, দিশার প্রেমিক রোহন রায়ের সামনেই দিশার ফোনটি চালু করে মুম্বই পুলিশ। পরিবার সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, দিশা মারা যাওয়ার ঠিক এক দিন পরেই দিশার ফোনটি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয় মুম্বই পুলিশ। গত ১৫ জুন থানায় দিশার প্রেমিককে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তাঁর সামনেই খোলা হয় দিশার ফোন। চালু করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। দিশার ফোন থেকেই তাঁর যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে পুলিশ, জানাচ্ছে দিশার পরিবার।
কিন্তু রেকর্ড যে বলছে, মৃত্যুর পরেও দিশার ফোন থেকে বেশ কয়েকটি নম্বরে ফোন গিয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে দিশার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই দিন, অর্থাৎ ১৫ জুন পুলিশ এবং রোহনের সামনেই দিশার ফোনে একটি ফোন আসে। এক বিমা কোম্পানির ফোন ছিল সেটি। দিশার কললিস্ট ঘেঁটে সে শেষ কয়েক দিন কাকে কাকে ফোন করেছে এবং কী জন্য করেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য দিশার ফোন থেকেই অনেককে ফোন করে মুম্বই পুলিশ, বক্তব্য তাঁর পরিবারের। ১৯ জুন দিশার ফোন ফরেন্সিক বিভাগের কাছে হস্তান্তরিত করা হয় বলে জানিয়েছে দিশার পরিবার। তাঁর পরিবারের বক্তব্য, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ফোন অন করতেই পারে, এতে অকারণে রহস্য খোঁজার দরকার নেই।
গত ৮ জুন এক বন্ধুর বাড়িতে গুটিকয়েক বন্ধুর সঙ্গে পার্টি করছিলেন তিনি। রাত্রি ১টা ১৫ থেকে দেড়টার মধ্যে বহুতল থেকে ঝাঁপ দেন দিশা। তাঁর বন্ধুরা তৎক্ষণাৎ বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করাতে নিয়ে গেলেও পারেননি। মুম্বইয়ের শতাব্দী হাসপাতালে তাঁকে অবশেষে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন দিশাকে।