কলকাতায় এসে কী বললেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র পরিচালক? ছবি: সংগৃহীত।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বাংলায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে। কলকাতার সব প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি প্রদর্শন করার অনুমতি মিলেছে। তাই খুব আশা নিয়ে কলকাতায় পা রেখেছিলেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। সঙ্গে এসেছেন অভিনেত্রী অদা শর্মা। কিন্তু দু’জনেই দেখলেন শহরের অন্য ছবি। সুদীপ্ত প্রশ্ন তুললেন গণতন্ত্র নিয়েও। কলকাতায় তবে কি যা বলা হয়, তেমনটা হয় না?
সাংবাদিক বৈঠক উপলক্ষে ভোরবেলার উড়ান ধরে মুম্বই থেকে কলকাতায় এসেছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। ভেবেছিলেন, এ শহরে প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হবে তাঁর ছবি। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর কণ্ঠে ঝরে পড়ল খেদ। সুদীপ্ত বললেন, “আমি এবং অদা রাজনীতিবিদ নই। আমরা অন্য কিছু জানি না। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরও কোনও হলে দেখানো হচ্ছে না ছবিটি। দেখে হতাশ হলাম।”
জানালেন, খুব আশা নিয়ে কলকাতা এসেছিলেন। প্রেক্ষাগৃহ ঘুরে ঘুরে দেখবেন আর আনন্দ করবেন বলে ভেবেছিলেন বাঙালিদের সঙ্গে। কিন্তু কোথাও দেখানো না হলে কী করবেন বুঝতে পারছেন না সুদীপ্ত।
৮ মে রাজ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা শুরু হয়। সমাধানসূত্র পেতে ছবির নির্মাতারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। অবশেষে বৃহস্পতিবার রায় বেরোয়। পশ্চিমবঙ্গে এই ছবি প্রদর্শনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। ফলে সিনেপ্রেমীদের মধ্যে ফের ছবিটি দেখার উৎসাহ চোখে পড়েছে। কিন্তু কোথায় কী? এখনও অবধি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ অচল কলকাতায়, আক্ষেপ সুদীপ্তের।
অন্য দিকে, ছবির পরিবেশক শতদীপ সাহা এর আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন যে, ছবিটি রাজ্যে ৯২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। প্রথম ৩ দিনে বক্স অফিসে ছবির ব্যবসা দাঁড়িয়েছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ আসার পর নড়েচড়ে বসেছেন রাজ্যের হল মালিকরা। শতদীপ বললেন, ‘‘খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি। পর পর হল মালিকদের ফোন আসছে। অনেকেই আবার ছবিটা দেখাতে চাইছেন। কিন্তু শুক্রবার থেকে ছবির তৃতীয় সপ্তাহ শুরু হবে। তাই শেষ পর্যন্ত কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে দেখা যাক।’’