ছবি অঙ্কন রায়।
শরৎচন্দ্রের 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসে ছিল শ্রীনাথ বহুরূপীর কথা। গ্রামীণ সমাজ-জীবনের অঙ্গ ছিলেন তাঁরা। আজ তাঁদের দেখা মেলে না তেমন। কোথায় আছেন তাঁরা? কেমন আছেন? চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগামী তথ্যচিত্র ‘ডাইং আর্ট অব দ্য বহুরূপীজ অব বেঙ্গল’-এ তারই খোঁজ। প্রকাশিত হয়েছে ছবির টিজার। এই তথ্যচিত্রে পরিচালক তুলে ধরতে চলেছেন বহুরূপী শিল্পীদের জীবন ও অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
বহুরূপী শিল্পের বর্তমান বিপন্নতার কথা নিজের মুখেই বলেছেন কিংবদন্তি বহুরূপী শিল্পী সুবলদাস বৈরাগ্য, রবি পণ্ডিত, বীরভূমের ব্যাধ পরিবারের রাজেন্দ্র ব্যাধ, বাজিকর সম্প্রদায়ের বহুরূপী ভানু বাজিকররা। করোনার সময় লকডাউনে কেমন ছিলেন তাঁরা, জানা যাবে সেই দুঃসহ পরিস্থিতির কথা
রাজাদিত্য তাঁর ‘ডেথ সার্টিফিকেট‘ চলচ্চিত্রের জন্য বিশেষ পরিচিত। 'ডেথ সার্টিফিকেট'-এর পরে তিনি ‘শিবরাত্রি’ ও ‘শববাহিকা’নামে আরও দু'টি ছবি তৈরি করেছিলেন।
এ বার ভারত ও ফিনল্যান্ডের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত নতুন তথ্যচিত্রে বাংলার বহুরূপীদের কথা তুলে ধরতে চলেছেন রাজাদিত্য। ছবির প্রসঙ্গে তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, "বহুরূপী বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়। বিশ্বায়ন এমন অনেক আঞ্চলিক সংস্কৃতির মৃত্যু ঘটাচ্ছে। এ-ও এক অতিমারি পরিস্থিতি, যত দিন যাবে আরও বোঝা যাবে। আজ বাংলায় ধুঁকছে বহুরূপী শিল্প, ধুঁকছেন বহুরূপীরা। লড়ছেন কয়েক জন তবু। খিদে মেনে ভালবাসা দিয়ে আগলে রাখছেন আজও প্রাচীন এই লোকশিল্পকে। এ ভাবে তাঁরা যুদ্ধ করে চলেছেন অস্তিত্বের সঙ্গে। সেই যুদ্ধের সাক্ষী আমাদের এই তথ্যচিত্র।"
ছবিটি পরিচালক রাজাদিত্য উৎসর্গ করেছেন তাঁর বাবা সাহিত্যিক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দাদা চলচ্চিত্র নির্মাতা বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
(এই খবরটির সঙ্গে যে ছবি ব্যবহৃত হয়েছে সেটি নেটমাধ্যম থেকে নেওয়া। আনন্দবাজার অনলাইনে এই খবর ও ছবি প্রকাশের পর অঙ্কন রায় ফেসবুকে জানান, ছবিটি তাঁর তোলা। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী এই ছবিতে অঙ্কনের নাম দেওয়া হল।)