অপরাজিতা আঢ্যর কোলে ছোট্ট অহনা। খুদে অভিনেত্রীর রূপটান ঠিক করছেন পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়। ছবি: সংগৃহীত।
সেই হাতখোঁপা, কপালে বড় টিপ, শাড়ির আঁচল এলোমেলো কাঁধে ফেলা। ওই অবস্থাতেই মেয়েকে আদরে ভরিয়ে দিচ্ছেন মা। এই দৃশ্য ভীষণ চেনা। এই ছবি বাঙালির মননে। যা একুশ শতকেও চিরকালীন ‘মাতৃরূপ’কে মনে পড়িয়ে দেয়। তেমন ভাবেই ক্যামেরাবন্দি হলেন অপরাজিতা আঢ্য, আবার। ক্যামেরায় চোখ রেখেছিলেন নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, আবারও। ২০২২-এ তিন জনের এক সঙ্গে শেষ কাজ ‘বেলাশুরু’।
শুটিংয়ের টুকরো ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই নন্দিতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। কেমন চরিত্রে দেখা যাবে অপরাজিতাকে? দু’বছরে কি অভিনেত্রী বদলে গিয়েছেন? নন্দিতার কথায়, “অপরাজিতার বদল হয় না। না অভিনয়ে না ব্যবহারে। ও আমাদের পরিবারের এক জন। যখনই মুখোমুখি, মনে হয়, গত কালই কথা হল আমাদের। এই রসায়ন ক্যামেরার সামনেও তাই ধরা পড়ে।” ছবিতে এক ছোট্ট মেয়ে আর তার মায়ের গল্প। মেয়ের চরিত্রে অহনা।
ক্যামেরার সামনে ‘তুমি আমার মা আমি তোমার মেয়ে’। ছবি: সংগৃহীত।
উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার ‘ফাটাফাটি’তে অপরাজিতার প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল। পরে সেটা হয়নি। পরিচালক জুটি কি সেই কারণেই আরও আগ্রহী? পাল্টা প্রশ্ন এল, “দু’বছরের ফাঁক ভরাট বলতে চাইছেন?” সাফ জবাব দিলেন নন্দিতা, “এ রকম কোনও ব্যাপারই না। কয়েকটা জিনিস এ ক্ষেত্রে বুঝতে হবে। এক, অপরাজিতার সঙ্গে আমাদের কোনও শত্রুতা নেই। ফলে, ফাঁক ভরানোর কোনও চেষ্টাও নেই। দুই, ‘ফাটাফাটি’ ছবিটি আমাদের প্রযোজনা। পরিচালনায় অরিত্র মুখোপাধ্যায়। তাই কাকে নেবে, কাকে নেবে না— সেটা সম্পূর্ণ পরিচালকের ব্যাপার। আমরা পরিচালকদের সেই স্বাধীনতা দিই।”
নন্দিতা-শিবপ্রসাদের ডাক মানেই অপরাজিতার মুখে চওড়া হাসি। সে কথা তুলতেই অভিনেত্রীর পাল্টা রসিকতা, “নইলে শিব ছাড়বে? অনুরোধের পর অনুরোধ জানাবেন দিদি, শিবপ্রসাদ।” ২০২৫-এ উইন্ডোজ়ের কোন ছবিতে আপনি? ফোনের ও পারে ঝরঝরে হাসি, “সেটা নন্দিতাদি-শিব বলতে পারবে। আমি এ রকম কিছুই শুনিনি।” সদ্য ‘দুর্গা’র শুটিং শেষ করলেন। দিন কয়েক পরেই পুরুলিয়ায় আতিউল ইসলামের ‘বানসারা’র শুটিং করতে যাবেন। এই প্রথম তিনি কোনও ধূসর চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন। সব মিলিয়ে তাই খুশি অপরাজিতা।