দুই ছোট্ট বন্ধুর নিখাদ সম্পর্কের গল্পে, খুদে শিল্পীদের গানে দর্শক মন ছুঁয়ে গিয়েছিল ‘হামি’।
কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২০-র মার্চে। মাঝে সবটাই ওলটপালট করে দিয়েছে অতিমারি। করোনার চোখরাঙানি কমায় অবশেষে ‘হামি ২’-র পরিচালনায় হাত দিতে চলেছেন শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটি। সব ঠিক থাকলে এই ডিসেম্বরেই সফর শুরু।
দুই ছোট্ট বন্ধুর নিখাদ সম্পর্কের গল্পে, খুদে শিল্পীদের গানে দর্শক মন ছুঁয়ে গিয়েছিল ‘হামি’। ২০১৮-র ছবির নজরকাড়া সাফল্যের পর থেকেই ভাবনায় ছিল তার দ্বিতীয় দফা। সবটাতেই জল ঢেলে দেয় কোভিড। ২০২০-র মার্চ থেকে ২০২১-এর ডিসেম্বর। মাঝের সময়টা অনেকখানি। আশঙ্কাও ছিল অনেক। অতিমারির ধাক্কা, সংক্রমণের বিপদ, অভিনয় নিয়ে কড়াকড়ি তো বটেই। খুদে অভিনেতাদের বয়স বেড়ে যাওয়ার ভয়ও ছিল যথেষ্ট। সব পেরিয়েই এখন ডিসেম্বরের দিকে তাকিয়ে পরিচালক, অভিনেতা-সহ ছবির গোটা দল।
অবশেষে ‘হামি ২’-র পরিচালনায় হাত দিতে চলেছেন শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটি।
নতুন কী কী থাকছে ‘হামি ২’-র গল্প থেকে চরিত্রে?
চমক, চমক এবং চমক। ‘হামি ২’-র পুরোটা জুড়ে সেটাই শেষ কথা। তেমনই দাবি করছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “হামি-র অভিনেতারা সকলেই থাকবেন। থাকছে এক ঝাঁক নতুন মুখও। তবে গল্প থেকে চরিত্র, চেহারা থেকে সাজ— সবেতেই সঙ্গী বড়সড় চমক। আর কিচ্ছু বলব না। ক্রমশ প্রকাশ্য!”
আর গান?
কচিকাঁচাদের গলায় ‘হামি’-র গান এক সময়ে শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরেছিল। ইউটিউবে এক সময়ে ১ কোটি ২০ লক্ষ পেরিয়ে যায় শ্রেয়ন ভট্টাচার্যের গানের ভিডিয়োর দর্শকসংখ্যা। শিবপ্রসাদের কথায়, “হামি ২-তেও এক ঝাঁক নতুন শিশু শিল্পীকে তুলে আনছি আমরা। অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গীত পরিচালনায় ইতিমধ্যেই তিনটে গান চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।”
করোনাকে সঙ্গী করেই ফের কাজ শুরুর তোড়জোড় শিবপ্রসাদ-নন্দিতার প্রযোজনা সংস্থা উইন্ডোজের। কোভিড বিধি মেনে, সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করেই কাজ হবে, আশ্বাস প্রযোজকদের। তৃতীয় ঢেউয়ে ছোটদের সংক্রমণের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হবে বলেও জানালেন শিবপ্রসাদ।
মাঝে দু’বছর নতুন ছবিতে হাত দেওয়া যায়নি। কাজ শেষ করেও মুক্তি পায়নি ‘বেলাশুরু’। এই পরিস্থিতিতে ‘হামি ২’ নিয়েই ক্যামেরার পিছনে ফিরছেন জনপ্রিয় পরিচালক জুটি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর। এবার অন্তত নির্বিঘ্নে কাজ করতে চান দু’জনেই।
আপাতত তাই পাখির চোখ ডিসেম্বর। শিবপ্রসাদ-নন্দিতা তো বটেই, গোটা দলেরই প্রার্থনা এখন একটাই। পুজোর পরে পরিস্থিতি যেন নতুন করে ঘোরালো হয়ে না ওঠে।