বড় পর্দায় অনেক ফিল্মে একসঙ্গে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন সানি দেওল এবং ডিম্পল কাপাডিয়া। তবে তাঁদের ফিল্মের থেকেও বেশি শিরোনামে উঠে এসেছে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গসিপ।
ঠিকই পড়ছেন। একটা সময় ছিল যখন দু'জনেই একে অপরকে ডেট করতেন। যদিও তখন বিবাহিত ছিলেন ডিম্পল এবং সানি দু'জনেই।
১৯৭৩ সালের মার্চে বিয়ে করেন দু’জনে। বিয়ের সময় ডিম্পলের বয়স ছিল ১৬। স্বামী রাজেশ খন্নার বয়স তখন ৩১ বছর।
রাজেশের সঙ্গে বিয়ের সময় থেকেই সিনেমা থেকে সরে আসেন ডিম্পল। রাজেশই নাকি তাঁকে দীর্ঘ ১২ বছর অভিনয় করতে দেননি, এমনটাও শোনা গিয়েছিল।
১৯৮৪ সাল থেকে মেয়েদের নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন ডিম্পল। বলতে গেলে, মেয়েদের তিনি একাই মানুষ করেছেন। কিন্তু রাজেশের সঙ্গে কখনও বিচ্ছেদের কথা ভাবেননি।
শোনা যায়, সানির সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়াতেই রাজেশের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল তাঁর।
১৯৮৪ সালেই সানির সঙ্গে তাঁর প্রথম ফিল্ম ‘মঞ্জিল মঞ্জিল’ মুক্তি পায়। তার পরই স্বামী রাজেশের থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি।
দু'জনের রিয়্যাল লাইফের রসায়ন ছায়া ফেলেছিল রিল লাইফে। আর তাঁদের এই রসায়ন ভীষণ পছন্দ করতে শুরু করেন দর্শকেরা।
‘অর্জুন’, ‘আগ কা গোলা’, ‘নরসিমহা’-র মতো সুপার হিট ফিল্মে একসঙ্গে কাজ করেছেন ডিম্পল-সানি।
ডিম্পলের বাড়িতেও তখন নিত্য যাতায়াত ছিল সানির। ডিম্পলের দুই মেয়ে টুইঙ্কল এবং রিঙ্কি তাঁকে ‘ছোটে পাপা’ বলে ডাকতেন।
বলিউডে গুঞ্জন, তাঁরা নাকি একে অপরকে স্বামী-স্ত্রীর মর্যাদাই দিয়েছিলেন। যদিও আইনত তাঁরা দুজনেই বিবাহিত থাকার কারণে কোনও দিনই এই সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা হতে পারেননি।
সানির স্ত্রী পূজা খুব কমই ক্যামেরায় ধরা দেন। স্বামী সানিকে নিয়ে এ সমস্ত গসিপ তাঁর কানে পৌঁছলেও তিনি কোনও দিন মুখ খোলেননি।
তবে গোপনে সানি এবং ডিম্পলের বিয়ের খবর শিরোনামে আসার পর পূজা বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেন। সানি সেটা হতে দেননি।
এত বছর পরও সানি এবং ডিম্পলের সম্পর্ক একই রকম রয়ে গিয়েছে। এখনও দেশের বাইরে কখনও কখনও তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়।
২০১৭-য় লন্ডনের রাস্তায় হাতে হাত রেখে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল সানি-ডিম্পলকে। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়ো দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন, ৩০ বছর কেটে গেলেও সানি-ডিম্পলের প্রেমের নৌকা নাকি এখনও নতুন দিগন্ত খুঁজে চলেছে।