সলমন খান।
আত্মহত্যার পরিস্থিতিতে দিন কাটিয়েছিলেন সলমন খান!
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। বলিউডের ‘চুলবুল পাণ্ডে’ এক সময়ে ‘আত্মহত্যার রোগ’-এর শিকার হয়েছিলেন। জানিয়েছেন সলমন নিজেই।
নিজের শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বরাবরই সচেতন ‘ভাইজান’। সেই তিনিই এক সময়ে ভুগেছিলেন ‘ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া’ নামে নার্ভের এক রোগে। চলতি কথায় তারই নাম ‘আত্মহত্যার রোগ’। কারণ, এ রোগের প্রকোপে এতটাই নাকি যন্ত্রণা হয়, রোগী অনেক ক্ষেত্রেই তা সহ্য করতে পারেন না। ভাবেন, একমাত্র আত্মহত্যাই হতে পারে যন্ত্রণামুক্তির পথ। এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবরও নিজেই দিয়েছিলেন সলমন।
দুবাইয়ে ‘টিউবলাইট’ ছবির একটি গান প্রকাশের অনুষ্ঠানে রোগের কথা সর্বসমক্ষে জানান ‘ভাইজান’। বলেন, ‘‘এতটাই যন্ত্রণা হত, মুখ খুলে ঠিকমতো কথা বলতে পারতাম না। গলার স্বর, কথা বলার ভঙ্গি পাল্টে গিয়েছিল। লোকে ভাবত আমি বুঝি মদ্যপান করে আছি। সে জন্যই ভাঙা, জড়ানো গলায় কথা বলছি। অথচ রমজানের সময়ে আমি একেবারেই মদ্যপান করতাম না।’’
২০০১ সালে নার্ভের এই সমস্যার শিকার হন সলমন। তারকাদের মধ্যে তিনিই প্রথম মুখ খুলেছেন এই রোগ নিয়ে, যাতে অন্যদের সচেতনতা বাড়ে।
আপাতত সলমনের আগামী ছবি 'টাইগার থ্রি'র মুক্তির অপেক্ষায় ভক্তরা। ক্যাটরিনা কইফ, ইমরান হাশমির সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নেবেন বলিউডের 'ভাইজান'।