শ্রীলেখা মিত্র এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
বাড়তি ওজন ঝরাতে নিয়মিত জিম করেন শ্রীলেখা মিত্র। নৈশভোজেও সামান্য খান। তার পরেও শরীর নিয়ে নানা জনের কটাক্ষের শিকার তিনি। নিজেকে প্রমাণ করতে শুক্রবার রাতে নৈশভোজের একটি ছবি নেটমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। ছবি বলছে, দু’পিস সেঁকা পাউরুটি, দু’টি ডিম সিদ্ধ, স্যালাড আর সবজি খান অভিনেত্রী। ছবির সঙ্গে অনুরাগীদের উদ্দেশে তাঁর অনুনয়, ‘বিশ্বাস কর তোমরা আমি বেশি খাই নাআআআআআ!’ প্রশ্নও ছুঁড়েছেন, ‘কার স্টাইলে বললাম বল তো’?
অনুরাগীরা সঠিক জবাব দিতেই আহ্লাদে আটখানা শ্রীলেখা। সবাইকে ১০০-য় ১০০ নম্বর দিয়েছেন। অভিনেত্রীর করা মন্তব্য বলছে, তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় একটি সংলাপের ছাঁচে নিজের মন্তব্যকে ঢেলেছেন। ‘বদলা’ ছবিতে তিনি এই ভঙ্গিতেই বলেছিলেন, ‘বিশ্বাস কর মা, আ...আমি চুরি করিনি’! মন্তব্য বিভাগে অনুরাগীরাও জবাবে জানিয়েছেন, প্রসেনজিৎ ওরফে ‘বুম্বাদা’-র ছায়া শ্রীলেখার নেটমাধ্যমের এই মন্তব্যে।
আদতে প্রসেনজিৎকে অনুকরণ করলেন অভিনেত্রী? নাকি কটাক্ষ?
আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে অভিনেত্রীর সাফ জবাব, ‘‘কটাক্ষ করার হলে সেটাই করতাম। আমি শুধুই রসিকতা করেছি।’’ তাঁর যুক্তি, তিনি নিজেকে নিয়ে যেমন রসিকতা করেন তেমনি অন্যদের নিয়েও মজা করতে ভালবাসেন। সেই জায়গা থেকেই নিজের প্রকৃত অবস্থান বোঝাতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় সংলাপ ধার নিয়েছেন তিনি। শ্রীলেখার দাবি, তাতেই মজায় মেতেছেন নেটাগরিকেরা। কেউ কেউ তাঁর অভিনীত ছবি ‘বাবা কেন চাকর’-এর নামও করেছেন। কটাক্ষ হলে এই ধরনের রসিকতায় মাততেন না তাঁরা কেউই।
তাঁর আরও বক্তব্য, এর আগে ‘মীরাক্কেল’-এ প্রকাশ্যে এই সংলাপ বলা হয়েছে। বহু বার, বহু জায়গায় বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর বিখ্যাত সংলাপ ‘বৌ গেলে বৌ পাবি, মা গেলে মা পাবি না রে পাগলা’ অনুকরণ করেছেন বহু শিল্পী। শ্রীলেখার প্রশ্ন, সে গুলো কি কটাক্ষ ছিল? যদি সে গুলো কটাক্ষ না হয় তবে তিনিও কাউকে কটাক্ষ করেননি।