কী বললেন অনির্বাণ?
১২ ঘণ্টা আগে একটি বড় পোস্ট আচমকা ভেসে উঠল অনির্বাণ ভট্টাচার্যর ফেসবুকের পাতায়। যদিও নীল দাগ দেওয়া অভিনেতার ‘ভেরিফায়েড’ পাতা থেকেই লেখাটি এসেছে, কিন্তু এই লেখাটা আসেনি অভিনেতার তরফ থেকে। পোস্টটি করেছেন তিনি, যিনি ২০১৮ থেকে এখনও পর্যন্ত অনির্বাণের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম-সহ তাঁর যাবতীয় সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম দেখেন। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এখন থেকে অভিনেতার কোনও সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম দেখবেন না তিনি বা তাঁরা। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? ঠিক কী ঘটল?
২০১৮ সাল থেকে অনির্বাণ ভট্টাচার্যর নেটমাধ্যমের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট দেখেন শ্রেয়া মিত্র। তিনি অনির্বাণ ছাড়াও অনেক অভিনেতাদের সামাজিক যোগাযোগের দায়িত্ব সামলে থাকেন। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফ থেকে শ্রেয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, “হ্যাঁ, অনির্বাণদার পাতায় আমিই এই লেখা পোস্ট করেছি। আর না পেরে বাধ্য হয়েছি এই পোস্টটি করতে। শেষ ছ’মাস ধরে চেষ্টা করেও দাদার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। আমাকে এখন ব্লক করে দিয়েছেন উনি। ‘এসভিএফ ব্র্যান্ডস’-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এমনটা শুরু হয়। ওঁরাই আমাকে হুকুম করত, এটা পোস্ট করতে হবে, ওটা পোস্ট করতে হবে।”
তাঁদের হুকুম মতো কাজ না করলে নানা কথাও শুনতে হত, জানিয়েছেন শ্রেয়া। শুধু তাই নয়, এ প্রসঙ্গে শ্রেয়া আরও বলেন, “অনির্বাণদাকে যোগাযোগ করতে বলেছিলাম। শেষে ১৫ অগস্ট আমাদের অজান্তেই দাদার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করা হয়।” এসভিএফ ব্র্যান্ডস হ্যাক করে এই পোস্ট করেছে, এমনটাই ইঙ্গিত শ্রেয়ার।
এই বিষয়ে ‘এসভিএফ ব্র্যান্ডস’-এর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে তাঁরা কিছু বলতে চান না। তবে সাধারণত যে তারকারা এসভিএফ-এর সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের যাবতীয় বাণিজ্যিক চুক্তি সরাসরি এসভিএফ-ই সামলে থাকেন। নেটমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলি তারকাদের কাছে আয়ের একটি বড় মাধ্যম। তাই সেগুলি পেশাগত ভাবে যাতে ঠিক মতো সামলানো হয় সেটা দেখা প্রয়োজন। ফলে অনেক অভিনেতাই এসভিএফ-এর সঙ্গে সেই অনুযায়ী এক ধরনের আয়োজন করে থাকেন। শ্রেয়ার সঙ্গে অনির্বাণের কোনও রকম চুক্তি ছিল কি না, তার সময়সীমা কত দিনের— এই জাতীয় কোনও তথ্যই যাচাই করে দেখেনি আনন্দবাজার অনলাইন।