কিন্তু কী এমন হয়েছিল দিয়ার সঙ্গে? ফাইল চিত্র।
ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে তারকারা যেন সদা লেন্সবন্দি। সারা ক্ষণই তাঁদের পিছনে তাড়া করেছে ক্যামেরা। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে বিরাট কোহলির হোটেলের ঘরের ছবি প্রকাশ্যে আসায় বেজায় চটেছিলেন অনুষ্কা শর্মা। সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন বিরাট কোহলিও। এমনই এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন দিয়া মির্জা, প্রায় এক দশক আগে। তার পর থেকে কোনও হোটেলে গেলে খুঁটিয়ে সেই ঘর পর্যবেক্ষণ করে নেন দিয়া। সেই ঘরে কোনও লুকোনো ক্যামেরা রয়েছে কি না, সেই বিষয়ে দারুণ সর্তক অভিনেত্রী। কিন্তু কী এমন হয়েছিল দিয়ার সঙ্গে, যার ফলে এতটা সজাগ অভিনেত্রী?
২০০১ সালে ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মেঁ’ ছবিটি দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় দিয়া মির্জার। এই ইন্ডাস্ট্রিতে দু’দশক পার করে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু কেরিয়ারের শুরুর দিকে হোটেলের বাথরুমে তাঁর স্নান করার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় অভিনেত্রীকে। তার পর থেকে অসম্ভব সচেতন হয়ে পড়েন তিনি। দিয়া এক সক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘বাইরে কোথাও গেলে ভীষণ সর্তক থাকি আমি।’’
দিন কয়েক আগে অনুষ্কা শর্মাও বেশ রেগে গিয়ে বলেন, ‘‘অনুরাগীরা মাঝেমাঝে তারকাদের ব্যক্তিগত পরিসরে ঢোকার চেষ্টা করেন, সেটা খুবই খারাপ।’’ অনুষ্কা আরও বলেন, ‘‘অনেকেই ভাবেন, হয়তো তারকাদেরই কেবল এমন সমস্যার মুখে পড়তে হয়। আমি তাঁদের জিজ্ঞেস করতে চাই, তাঁদের শোওয়ার ঘরে এমনটা হলে কী করবেন?’’
২০০০ সালে এক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে গ্ল্যামার-বিশ্বে যাত্রা শুরু দিয়ার। সেই থেকে দেখতে দেখতে এতগুলো বছর পার করে ফেলেছেন তিনি। সদ্য ৪০-এ পা দিয়েছেন অভিনেত্রী। ছেলে ও স্বামীর সঙ্গে নিজের সুখী গৃহকোণ সাজিয়েছেন দিয়া মির্জা। কিন্তু আজও হোটেলের ঘরে লুকোনো ক্যামেরার আতঙ্ক যায়নি 'থাপ্পড়'-এর 'শিবানী'র।