অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ল। শুক্রবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চের রায়ে ধোঁয়াশা কাটল ধনুষের জন্ম পরিচয় নিয়ে।
গত বছরের শেষ দিকে কাথিরেসান ও মীনাক্ষি নামে এক দম্পতি ধনুষকে নিজেদের ছেলে বলে দাবি করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ধনুষের কাছ থেকে মাসিক ৬৫ হাজার টাকাও দাবি করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের এই দাবি অস্বীকার করেন ধনুষ ও তাঁর পরিবার। এ দিন আদালত কাথিরেসান ও মীনাক্ষির আবেদন খারিজ করে জানিয়েছে কস্তুরী রাজা এবং বিজয়লক্ষ্মীই ধনুষের বায়োলজিক্যাল বাবা-মা।
আরও পড়ুন: ‘আমি কঙ্গনার অনুরাগী, কিন্তু ক্ষমা চাইতে যাব কেন?’
এরপরেই বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। ধনুষ যে তাঁদেরই সন্তান তার প্রমাণ হিসাবে তাঁরা দাবি করেন, ধনুষের বাঁ দিকের কলার বোনে একটি তিল আছে এবং বাঁ হাতের কনুইয়ে একটা জন্মদাগ রয়েছে। এরপরেই ধনুষের মেডিক্যাল পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু ডিএনএ টেস্ট করতে সম্মতি দেননি ধনুষ। মেডিক্যাল রিপোর্টে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, নায়কের শরীরের বাঁ দিকের কলার বোনে কোনও তিলের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এমনকী বাঁ হাতের কনুইয়ে কোনও দাগও নেই।
সে সময় ওই দম্পতি জানিয়েছিলেন, ধনুষের আসল নাম ছিল কালাইচেলভান। মেলুরের একটা স্কুলের দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর শিবাগঙ্গা জেলার একটি স্কুলে ক্লাস ইলেভেনে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরেই পড়াশোনা ছেড়ে চেন্নাই গিয়ে পরিচালক কস্তুরী রাজার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই নাকি নাম বদলে ‘ধনুষ কে রাজা’ নাম নেন কালাইচেলভান। তারপরই নাকি সিনেমার জগতে ঢুকে যান বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা। তবে এ দিন আদালত তাঁদের সব দাবিকেই নস্যাত্ করে দিয়েছে বলে খবর।