(বাঁ দিকে) ধনুষ, ঐশ্বর্যা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
২০০৪ সালে মহা ধুমধাম করে বিয়ে হয় দক্ষিণী ‘সুপারস্টার’ রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বর্যা এবং অভিনেতা ধনুষের। ১৮ বছর বাদে সেই বিয়েতেই যবনিকা পতন। গত বছরের গোঁড়ার দিকে সমাজমাধ্যমের পাতায় বিবৃতি দিয়ে নিজেদের আলাদা হওয়ার কথা জানান তাঁরা। পরে অবশ্য পারিবারিক হস্তক্ষেপে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে। অনেকেরই ধারণা ছিল, হয়তো ভুল বোঝাবুঝি মান-অভিমান মিটিয়ে নিয়ে ফের এক হবেন তাঁরা! না তেমনটা নয়, তাঁদের আর কখনওই একসঙ্গে থাকা হবে না। কিন্তু কেন এখনও আইনিবিচ্ছেদ করেননি এই তারকা দম্পতি?
গত কয়েক বছর ধরেই আলাদা থাকছিল ধনুষ-ঐশ্বর্যা। গত বছর কেবলই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন। তাঁদের ছাদ আলাদা কিন্তু বিচ্ছেদের আইনের সিলমোহর পড়েননি। শোনা যাচ্ছে, তাঁরা দুই সন্তানের কথা ভেবেই এমনটা করছেন। আলাদা থেকেও দুই সন্তানের অভিভাবকের দায়িত্ব যৌথ ভাবে সামলাচ্ছেন। ধনুষ কিংবা ঐশ্বর্যা দু’জনের কেউই চান না তাঁদের ব্যক্তিগত জীবেনের আঁচ তাঁদের ছেলেদের উপর আসুক। তাঁদের দু’জনের মধ্যে কেউ এক জন যত ক্ষণ না পর্যন্ত দ্বিতীয় বার বিয়ে করতে চাইছেন, তত দিন পর্যন্ত তাঁরা আইনি বিচ্ছেদ করবেন না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দাবি ঘনিষ্ঠ সূত্রের।
খ্যাতনামী জুটির ঘনিষ্ঠ মহল অবশ্য এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে ততটা অবাক হয়নি বলেই খবর। তাঁদের কেউ কেউ বলছেন, এমনটা হওয়ারই ছিল। পেশা-জীবনে দু’জনের পছন্দ-অপছন্দ ও সিদ্ধান্তের ফারাক এবং কাজের ব্যস্ততাই দু’জনের মাঝে এসে দাঁড়িয়েছে। এক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট বলছে, কাজপাগল ধনুষ বরাবরই পেশাগত প্রয়োজনকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। অভিনয়ের সূত্রে লাগাতার আউটডোর শ্যুট এবং অন্য শহরে যাওয়া ধনুষের পারিবারিক জীবনে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল।