ধনুষ-ঐশ্বর্যা। ফাইল চিত্র।
১৮ বছর বৈবাহিক সম্পর্কে থাকার পর বিচ্ছেদ হয়েছে ধনুষ এবং ঐশ্বর্যার। নেটমাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘোষণার পরে রজনীকান্ত নিজে উদ্যোগী হন মেয়ের দাম্পত্যজীবনের ভাঙন ঠেকাতে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ‘থালাইভা’ সফল হয়েছেন বলে কোনও খবর নেই। তার মধ্যেই শোনা যাচ্ছে, এক-আধ দিন নয়, পাঁচ বছর ধরেই নাকি অশান্তি চলছিল ধনুষ-ঐশ্বর্যার।
ভক্তরা হতবাক হলেও দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগৎ ধনুষ এবং ঐশ্বর্যার বিচ্ছেদ নিয়ে একদমই অবাক নয়। একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের দাম্পত্যজীবনে টানাপড়েন চলছিল। ধনুষ যখন শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকতেন না, তখনই কেবল ঐশ্বর্যার সঙ্গে সময় কাটাতেন তিনি। দু’জনের একত্রে থাকার সুযোগও হত কম। তাঁদের দাম্পত্যজীবনে সমস্যাও ছিল। অনেকের মতে, ধনুষ ও ঐশ্বর্যা বিচ্ছেদের ঘোষণা করতে অনেকটা সময় নিয়েছেন, কারণ তাঁরা হয়তো সম্পর্ক মেরামতির চেষ্টাই করছিলেন।
২০০০ সালে রজনীকান্ত-কন্যার সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ধনুষের। তখন ঐশ্বর্যার বয়স ছিল ২১, আর ধনুষের বয়স ছিল ২৩। এর পর ২০০৪ সালে ধুমধাম করে ধনুষের সঙ্গে ঐশ্বর্যার বিয়ে দেন রজনীকান্ত। ১৮ বছর পেরিয়ে বিচ্ছেদের পরে রজনীকান্তের কন্যা পেশাদার জগতে মনোনিবেশ করেছেন। বর্তমানে তিনি অঙ্কিত তিওয়ারির সঙ্গে একটি গানের ভিডিয়ো নিয়ে ব্যস্ত। এ দিকে, সদ্যই মুক্তি পেয়েছে ধনুষের ‘আতরঙ্গি রে’। বক্স অফিসে যথেষ্ট সফল সেই ছবি।