খাঁড়া হাতে ডাকাতি করতে বেরোলেন দেব।
দেব কি আইসল্যান্ড থেকে ফিরেছেন? জবাব নেই!
তবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বলছে— ফিরুন না ফিরুন, তিনি কিন্তু খাঁড়া, মশাল হাতে ডাকাতি করতে বেরিয়ে পড়েছেন! সঙ্গে এক দল স্যাঙাত। কালীপুজোয় পোস্টার প্রকাশের পর সোমবার মোশন পোস্টার দিয়ে ‘রঘু ডাকাত’-এর প্রত্যাবর্তনের কথা আরও এক বার আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করলেন দেব। তাঁর ডাকাতির খবর যদিও প্রথম ফাঁস করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন।
দেবী কালিকা আর রঘু ডাকাত বাংলার গা ছমছমে রহস্য। অতীত ইতিহাস বলে— দিনে মজুর, রাতে ডাকাত ছিলেন রঘু। যিনি ধনীদের লুটে গরিবদের দান করতেন ডাকাতি করে আনা ধনসম্পদ। নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর পর বাংলার ‘রবিনহুড’কে বড় পর্দায় ফেরাতে চলেছেন পরিচালক ধ্রব বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী বলছে মোশন পোস্টার? কতটা রঘু ডাকাত হতে পেরেছেন দেব? পোস্টারে পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে তিনি। সুগঠিত পেশি। মশালের আলোয় ডাকাত সর্দারের গা বেয়ে ঘাম ঝরছে। বাবরি চুল আটকানো লাল ফিতেয়। খাটো ধুতির উপরে চওড়া লাল কোমরবন্ধনী। হাতে মোটা রুপোর বালা। পায়ে একই ধাঁচের কড়া। দূরে আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ। জোছনাকে সামলাতে মেঘের ওড়না জড়িয়েছে। এমনই এক গভীর রাতে চুপিসাড়ে নদীতে বাণিজ্যতরী। কিন্তু রঘুর চোখকে ফাঁকি দেয় কার সাধ্য? খবর পেতেই স্যাঙাত নিয়ে ‘হা রে রে রে’ রব তুলে হাজির ‘রবিনহুড’! ‘টনিক’-এর দেব এসভিএফের আগামী ছবিতে সত্যিই যেন হাড়-হিম করা ডাকাত।
টলিউডে দেবের ১৫ বছরের রাজপাটে প্রতি পরতে চমক। ছবির প্রচার হোক বা নিজের অভিনীত চরিত্র— কিছু না কিছু ব্যতিক্রমী ছাপ রেখে যাওয়ার চেষ্টা করেই থাকেন অভিনেতা। সাম্প্রতিক উদাহরণ ‘গোলন্দাজ’। এ ছবিতে পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় ক্যামেরাবন্দি করেছেন ভারতীয় ‘ফুটবলের জনক’কে। পর্দায় নগেন্দ্রর ভূমিকায় সফল সাংসদ-তারকা। অতিমারির মধ্যেও ভাল ব্যবসা করেছে এসভিএফ প্রযোজিত তাঁর এই পুজো-মুক্তি।