দেব।
রাখঢাক করে কথা বলেন না বলেই হয়তো দেবের কথায় বিতর্ক তৈরি হয়। বিতর্কের খাতিরে বিতর্ক নয়। বরং বলা চলে, তাঁর স্বভাবোচিত সরস ভঙ্গিতে খোঁচা দিলেন। নাম না নিয়ে একহাত নিলেন পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে। যাঁর প্রাক্তন প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরীর নিজস্ব প্রযোজনার প্রথম নিবেদন, দেবের ‘সাঁঝবাতি’।
ছবির ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে দেবের উপরে সঞ্চালনার ভার দিয়েছিলেন অতনু। ‘‘এই প্রযোজক এতটাই কিপটে যে, এমন একজনকে সঞ্চালনার কাজ দিল, যার বাংলাটাই ঠিক নয়। কালই ট্রোলড হব,’’ শুরুতেই তাঁর বাংলা উচ্চারণের সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিলেন অভিনেতা। এ দিনের অনুষ্ঠানে টুকটাক গুগলি চালিয়ে গেলেন দেব। ‘‘তিন বছর আগে ইনি (অতনুর দিকে তাকিয়ে) এবং এঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, আমার কাছে একটি ছবির প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন। ওটাই আমার প্রযোজনায় প্রথম ছবি হওয়ার কথা ছিল। আমার তিন মাসের ডেট নেওয়া ছিল। ‘পাগলু টু’র আউটডোর থেকে ফিরে এসে শুনলাম, তাঁরা নতুন ছবি ঘোষণা করে দিয়েছেন। ঠিক আছে, বড় পরিচালক হয়ে গিয়েছিলেন তখন...’’ হলে তখন হাসি আর হাততালির ঝড়।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ও শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘সাঁঝবাতি’তে দেবের পাশাপাশি রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী, পাওলি দাম প্রমুখ। যদিও এ দিনের অনুষ্ঠানে দুই প্রবীণ শিল্পী অনুপস্থিত ছিলেন। তাই লাইমলাইটে আগাগোড়াই দেব।
এই ছবির জন্য যখন প্রথম বার দেবের নাম ওঠে, তাতে লীনার সম্মতি ছিল না। ‘‘আমি যে ঘরানার ছবি করি, সেটা ও জাস্টিফাই করতে পারবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ ছিল,’’ বললেন লীনা। ‘‘তবু আমাকে কাস্ট করে ঝুঁকিটা নিলে কেন?’’ লীনার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন সুপারস্টার। তাঁর এমন বাউন্সারে মুখর ছিল গোটা অনুষ্ঠান। চাঁদুর চরিত্রে অভিনয় করার জন্য দেবের মন্ত্র ছিল একটাই, ‘‘হল থেকে বেরিয়ে দর্শক যেন না বলেন, এই দেবের জন্যই ছবিটা ঝুলে গেল... এটা মাথায় রেখে কাজ করেছি,’’ অকপট নায়ক।
ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পরে উপস্থিত দর্শকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেন দেব। নানা প্রশস্তিসূচক বিশেষণ শুনে বললেন, ‘‘এঁরা সবাই দেব ফ্যান ক্লাবের। আপনারা বলুন...’’
অতনুর পরবর্তী প্রযোজনা ‘টনিক’-এ মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন দেব। সে ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অতনুর ব্যানারে আরও একটি ছবি করার কথা আছে দেবের। শোনা যাচ্ছে, লীনা ও শৈবাল সেটিরও পরিচালনা করবেন।