ম্যালে দেব, পাওলি ও সোহিনী (বাঁ দিক থেকে)। নিজস্ব চিত্র
তিনি দার্জিলিঙে এসেছেন ছবির শুটিংয়ে। তার ফাঁকে ঘুরে এলেন চিন সীমান্তের নাথু লা-য়। কারণ, তিনি, দেব অধিকারী একধারে রুপোলি পর্দার নায়ক এবং সাংসদ হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যও।
সদ্য পুজোর মরসুম শেষ হয়েছে। বড়দিনের ভিড়ভাট্টা শুরু হতে এখনও কিছু দিন বাকি। এর মধ্যে দেব তাঁর দলবল নিয়ে শৈলশহরে এসেছেন নতুন ছবি ‘সাঁঝবাতি’র শুটিংয়ে। সঙ্গে আছেন লিলি চক্রবর্তী, পাওলি দাম, সোহিনী সেনগুপ্তরা। শুটিং দলের সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝকঝকে দিনে ম্যালে তো বটেই, লামাহাটাতেও তাঁদের ক্যামেরা ‘রোল’ করেছে।
পাঁচ দিন আগে বাগডোগরায় নামেন দেব-পাওলিরা। তখনই দেব বলেছিলেন, ‘‘পর্যটন এবং সিনেমার শুটিংয়ের ক্ষেত্রে রাজ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় দার্জিলিং। অনেক দিন পরে এখানে এলাম। খুব ভাল লাগছে।’’ পর্যটকের ভিড় সে ভাবে নেই। তারই ফাঁকে ম্যালে দেখা গিয়েছে তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গীদের। কখনও ‘ক্যামেরা, অ্যাকশন’ আওয়াজে ভরে উঠেছে ম্যাল চৌরাস্তা। কখনও কাজ শেষে ‘প্যাক আপ’। গত কয়েক দিন দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সাঁঝবাতি’র কিছু ছবিও ‘শেয়ার’ করেছেন। সেখানে দেব বলেছেন, ‘‘আমরা আসছি আপনার সঙ্গে নিজেদের খুশি, আনন্দ, দুঃখ ভাগ করে নিতে। এবং নিয়ে আসছি, সাঁঝবাতি।’’
এর আগে দার্জিলিং দেখেছে রাজেশ খন্নার ‘আরাধনা’ থেকে রণবীর কপূরের ‘বরফি’র মতো একাধিক ছবির শুটিং। দেবের টিমও শৈলশহরে শুটিং সেরে বাড়িমুখো হয়েছে। তবে দেব সোজা গিয়েছেন ১৪,১৪০ ফুট উঁচু নাথু লা-য়। ছবির অন্যতম প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘দার্জিলিঙে আমাদের দু’দিনের শুটিং ছিল। তার পরে ইউনিট কলকাতা ফিরলেও দেব নাথু লা চলে যান।’’
অভিনেতার ব্যক্তিগত সহায়ক জানাচ্ছেন, স্ট্যান্ডিং কমিটির বাকি সদস্যদের সঙ্গে রবিবার নাথু লা-য় পৌঁছন দেব। এই কমিটির কাজ কী? কমিটির সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোতায়েন সেনাবাহিনীর জওয়ানদের নানা সমস্যা, সুবিধা-অসুবিধার কথা জেনে, সেগুলির তালিকা সংসদে তুলে ধরেন। কমিটির এক একটি সফরে ১০-১২ জন সদস্য থাকেন। দেব-ও নাথু লা-য় গিয়ে জানান, সেখানে মোতায়েন সেনাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানাবেন সংসদে। ছবির ইউনিট সূত্রে খবর, নাথু লা সফর সেরে শুক্রবার কলকাতা ফিরবেন তিনি।