কিয়ান-নোয়া।
কিয়ান-নোয়া আর ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে নায়ক-নায়িকা নেই। গত শনিবার এই মর্মে ‘নোয়া’ ওরফে শ্রুতি দাসকে কটাক্ষ করেন এক দল নেটাগরিক। সেই পোস্ট শেয়ার করে সাফ জবাবে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ‘এ সব শুনেও আমার মনোবল ভাঙবে না’। ‘মাম্পি’ রুকমা রায়ও সমর্থন জানান শ্রুতিকে। বলেন, ‘শ্রুতি বুদ্ধিমান। আমাদের মধ্যে এত চট করে ভাঙন ধরানো সম্ভব নয়’। নেটমাধ্যম বলছে, সেই তরজা এখনও জারি। পাশাপাশি, শ্রুতির প্রতি সমর্থনেও ঘাটতি নেই। এ বার অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়াল ‘দেশের মাটি’র ফ্যান পেজ। তাদের দাবি, ‘নোয়া-কিয়ান, ডোডো-উজ্জ্বয়িনী, মাম্পি-রাজা-- এদের গল্পগুলো কিন্তু একে অপরের সঙ্গে জড়িত’।
ধারাবাহিকের ফ্যানপেজের আরও দাবি, ‘লেখিকা আসলে এগুলোর মধ্যে দিয়ে কী তুলে ধরতে চান, সেগুলো বোঝার মতো ক্ষমতা অর্ধেক দর্শকেরই নেই। ওই যে, শুধু দেখার জন্য দেখা। আর কিছু না বুঝে বিচার করা কাজ’। তাদের কথায়, এই মানসিকতা থেকেই শ্রুতি দাসের পাতাতেও কটূক্তির বন্যা বইছে। কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃত ভাবে করছেন। বাকিরা অন্যের দেখে একই পথে হাঁটছেন। যা সত্যিই নিন্দনীয়।
কেন এই বিতর্ক? স্টার জলসার এই ধারাবাহিকে্র বিষয় স্বরূপনগরের স্থানীয় মানুষ এবং মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জমজমাট ঘরোয়া গল্প। কিছু দিন আগেই নানা ঝঞ্ঝাটের পর সাতপাকে বাঁধা পড়েছে কিয়ান-নোয়া। বিয়ের দৃশ্য শেষ হওয়ার আগেই নোয়া ওরফে শ্রুতি করোনা পজিটিভ। ফলে, তাঁর অনুপস্থিতিতে গল্প এগিয়েছে প্রথমে ডোডো-উজ্জয়িনী ও পরে রাজা-মাম্পির প্রেম-বিরহ নিয়ে। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় জুটির রসায়ন জনপ্রিয়। তাই নিয়ে ফের ট্রোলের মুখে ‘নোয়া’ ওরফে শ্রুতি।
শ্রুতি যদিও তাঁর মতো করেই সামলেছেন গোটা বিষয়। নেটাগরিকদের সপাটে জানিয়েছেন, ‘ওরে অবুঝ, এই ধারাবাহিক তথাকথিত নায়ক-নায়িকা নির্ভর নয়’। তাঁর দাবি, এখানে নোয়া-কিয়ান, রাজা-মাম্পি, ডোডো-উজ্জয়িনী, দাদান-ঠাম্মি, জেঠুমণি-বৌরানি সবাই নায়ক-নায়িকা। শ্রুতিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন রুকমাও। তাঁর কথায়, নেটমাধ্যমে কে, কী বললেন তাই নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামান না তিনি। তাঁর কাছে শ্রুতি ‘ছোট বোন’।