আজও ভাল বন্ধু কণীনিকা আর দেবলীনা।
প্রথমেই বলি, শুভ জন্মদিন কণী! শুধু আজকের দিনটা নয়, আগামী প্রত্যেকটা দিন ভাল কাটুক তোর।
আসলে কণী, মানে কণীনিকা আর আমায় প্রথম সাফল্যের স্বাদ এনে দিয়েছিল একই ধারাবাহিক। ‘এক আকাশের নীচে’। আর সেখান থেকেই আমাদের পর্দার জীবনে এক মজাদার সমীকরণের শুরু। নব্বইয়ের দশকে ‘এক আকাশের নীচে’-তে আমি ছিলাম কণীর ছোটকাকির চরিত্রে। তখন আমরা দু’জনেই কমবয়সি, ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রায় আনকোরা। তার বহু কাল বাদে ফের এক ধারাবাহিকে দু’জনে। ‘অন্দরমহল’। তাতে একই পুরুষের বর্তমান স্ত্রী কণী, প্রাক্তন স্ত্রী আমি। ছোটকাকি থেকে এক্কেবারে সতীন! ভাবা যায়?
আমার খুব ভাল লাগে, যখন দেখি কণী আজ খুব ভাল কাজ করছে টলিউডে। ছোট বা বড় পর্দায় দারুণ অভিনয় করছে। প্রথম যখন ওকে পর্দায় দেখেছিলাম, সে দিনই মনে হয়েছিল এ মেয়েটা তো বেশ অভিনয় করে! সেই কণী দুর্দান্ত অভিনয়ে সত্যিই আজ নিজের জাত চিনিয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনেও শ্রেষ্ঠ সময়টার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ও। ওর ছোট্ট মেয়েটাকে ঘিরে ভারী সুন্দর দিন কাটাচ্ছে। প্রায় রোজই দেখি কী মিষ্টি মিষ্টি সব ছবি আর ভিডিয়ো পোস্ট করে— মা-মেয়ে টুইনিং করে রং-মিলন্তি পোশাকে। ওই পোস্টগুলো বড্ড পছন্দের আমার। দেখেই মনে হয়, মা আর তার পুঁচকি মেয়ে নয়, ওরা যেন দুই বন্ধু। ইদানীং আমিও মায়ের সঙ্গে টুইনিং করি তো! ঠিক ও রকম করেই!
কণীর আরও একটা জিনিস আমার ভীষণ পছন্দের। ইন্ডাস্ট্রিতে এতগুলো বছর পেরিয়ে এসেও মানুষটা কিন্তু এক্কেবারে একই রকম আছে। ‘এক আকাশের নীচে’র সেটে ওকে যেমন দেখেছিলাম, তার এতটুকুও পাল্টায়নি। পর্দায় আমরা ছোটকাকি আর ভাইঝি হয়ে শুরু করে সতীন হয়ে উঠেছি। কিন্তু আসলে তুই আমার বন্ধুই রয়ে গেলি কণী!
শুধু আমরা কেন! ‘এক আকাশের নীচে’র সেটে তিন মা আসতেন। আমার মা, কণীর মা আর মনামীর মা। আমাদের পাশাপাশি মেকআপ রুমে বসে গল্প করতে করতে আমাদের মায়েরাও দারুণ বন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন। সেই বন্ধুত্বগুলো আজও অমলিন। এটাও কি কম পাওয়া? কী বলিস কণী?