২০০৮ সালের ‘রামায়ণ’ ধারাবাহিক থেকে প্রেম শুরু। সেখান থেকে শেষমেশ ২০১১ সালে বিয়ে। অন স্ক্রিন বা অফ স্ক্রিন—সবেতেই দেবিনা-গুরমিতের কেমিস্ট্রি অসাধারণ। বিয়ের পরেও ছোট পর্দায় নানা ভূমিকায় দর্শকদের মন কেড়েছেন দেবিনা-গুরমিত। কিন্তু সম্প্রতি ‘ওয়াজাহ্ তুম হো’ ছবিতে গুরমিত চৌধুরীর সঙ্গে সানা খানের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য হই চই কাণ্ড বাধিয়েছে বি-টাউনে। সকলেই বলছেন, ওই দৃশ্যগুলি বেশ ঘনিষ্ঠ, বলিষ্ঠ এবং সাহসী। সবাই যখন এই দৃশ্যগুলি নিয়ে চর্চা করছেন, তখন গুরমিতের স্ত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কী প্রতিক্রিয়া? বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই বি-টাউনে বিস্তর চর্চা লেখালিখি চললেও এ নিয়ে মুখ খোলেননি গুরমিতের স্ত্রী দেবিনা। অবশেষে ছবি মুক্তির ঠিক আগে মুখ খুললেন তিনি। মুম্বইয়ের একটি সংবাদমাধ্যমে খুব সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাত্কার।
এই সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, স্বামী গুরমিতের অভিনীত ওই দৃশ্যগুলি তিনি মোটেই বার বার দেখতে চান না। আর তা হলেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়া যাবে। তবে অভিনেতা গুরমিতকে তিনি নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “ছবির ওই দৃশ্যগুলি নিয়ে গুরমিত খুব নার্ভাস ছিল। আমিই ওকে আস্বস্ত করি।”
কিন্তু বি-টাউনের ওই রিপোর্টের দাবি, গুরমিত অভিনীত ‘ওয়াজাহ্ তুম হো’ ছবির মূল গল্প জানলেও এই দৃশ্যগুলির ব্যপারে আগে থেকে তেমন কিছুই জানতেন না দেবিনা। তাই স্বামীর এই ধরনের ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়াতে কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ণ হয়েছেন তা আকার ইঙ্গিতে স্পষ্ট করে দেন তিনি।
আরও পড়ুন...
রেস্তোরাঁর নামও ‘হিরো নম্বর ১’, চমকে দিলেন গোবিন্দা
বিশাল পান্ড্য পরিচালিত এই ছবিটি মুক্তি পেল আজ। দেশের হাজার হাজার মানুষ আজ সিনেমা হল বা মাল্টিপ্লেক্সে ভিড় জমাবেন গুরমিত চৌধুরী আর সানা খানের হট কেমিস্ট্রির আকর্ষণে। এই মিডিয়া রিপোর্ট সামনে আসার পর অনেকেই মনে করছেন, এই ছবি নিয়ে যত চর্চা বাড়বে, ততই অস্বস্তি বাড়বে দেবিনা-গুরমিতের দাম্পত্যে। তাই ‘ওয়াজাহ্ তুম হো’র ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছেন অনেকেই।