বরুণ ধবন ও সারা আলি খান (বাঁদিকে), ডেভিড ধবন ও বরুণ ধবন (ডানদিকে)।
না না, তখন চোখ বন্ধ করে নেননি ডেভিড ধবন। পরিচালকই যদি চোখ বন্ধ করে নেন, তবে কী ভাবে হবে? যথেষ্ট মন দিয়েই ছেলের চুমু খাওয়া দেখেছেন। ভুল হলে ধরিয়েও দিয়েছেন। ও সব নিয়ে ছুৎমার্গ নেই বাবা ডেভিড ধবনের। সাফ জানিয়ে দিলেন সাক্ষাৎকারে।
প্রশ্ন উঠেছিল, চুমু খাওয়ার দৃশ্যে নিজের ছেলে বরুণকে নির্দেশনা দেওয়ার সময়ে ডেভিডের অস্বস্তি হয় না? তাতে ডেভিডের জবাব, ‘‘পর্দায় চুমুর দৃশ্যে অভিনয় করা সবথেকে সহজ। কাজের প্রতি প্রফেশনাল হলে কোনও লজ্জার ব্যাপারই নেই। শ্যুট করার সময়ে আমি ছেলেকে অন্য ভাবে দেখিই না। আমি শুধু জানিয়ে দিই, এই দৃশ্যের প্রয়োজন আছে। অভিনয় করো। ‘এ মা! আমার ছেলে চুমু খাচ্ছে আমার সামনে!’ এ সব আমি বলি না। এগুলো খুব স্বাভাবিক বিষয়।’’
এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে বাবা-ছেলের প্রফেশনাল সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছিলেন ডেভিড। সেটে বরুণ ধবন তাঁর ছেলে নন বা ছবির হিরো নন। কেবল এক জন অভিনেতা। ভাল করলে পিঠ চাপড়ান। খারাপ অভিনয় করলে গোটা টিমের সামনে কড়া ধমক দেন পরিচালক। এমনকি, বরুণ জানিয়েছিলেন, বাবার সঙ্গে কাজ করে তিনি খুব সন্তুষ্ট। বাবা এক জন পরিচালক হিসেবে তাঁকে কাজ নিয়ে ভাবতে বাধ্য করেন। আরও ভাল অভিনয় করার জন্য উৎসাহ দিতে থাকেন।
‘জুড়ওয়া ২’, ‘কুলি নম্বর ওয়ান’- এই ছবি দু’টিতে এক সঙ্গে কাজ করেছেন ডেভিড ধবন ও বরুণ ধবন।
আরও পড়ুন: এই প্রথম প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা-দেবশ্রী এক ছবিতে
আরও পড়ুন: ‘২০২০ সহজ ছিল না, কিন্তু অনেক কিছু শিখিয়েছে’