তৃণা সাহা।
কোনও দিন বহুতলে থাকেননি অভিনেত্রী তৃণা সাহা। আজন্ম বেড়ে উঠেছেন নিজস্ব বাড়িতে। ফলে, ঘূর্ণি ঝড়ে বহুতলের বাসিন্দাদের অবস্থা কেমন হয়? কোনও অভিজ্ঞতাই নেই তাঁর। অভিনেতা নীল ভট্টাচার্যকে বিয়ের সূত্রে এখন তিনি বহুতল ‘অভিদীপ্তা’র ৭ তলার বাসিন্দা। ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় কী কী সতর্কতা নিচ্ছেন তিনি এবং তাঁর পরিবার?
আনন্দবাজার ডিজিটালকে তৃণা জানালেন, ‘‘শুনেছি, গত বছর আমপান ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন বাসিন্দারা। তার জন্য হাইজিং কর্তৃপক্ষ কিছু নিয়ম আগাম সবাইকে জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই। ঝড়ের আগে বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা হলে ঝড়ের সময় অন্ধকারে থাকতে হবে না কাউকে, দাবি কর্তৃপক্ষের।’’
তৃণার কথায়, বিদ্যুৎ বাঁচানোর পাশাপাশি জল ধরে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের। এ ছাড়া, অভিনেত্রীর পরিবার ব্যক্তিগত ভাবে বেশ কিছু তোয়ালে জোগাড় করে রেখেছেন। কারণ, আমপানের প্রবল ঝড়ে বৃষ্টির জল ঘরে ঢুকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ঘরদোর।
বহুতলে থাকার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। একটু হলেও কি ভয় পাচ্ছেন তৃণা? স্পষ্ট জবাব অভিনেত্রীর, ‘‘বহুতলের বাসিন্দা না হলেও জানি, আমপান বা ইয়াসের মতো ঘূর্ণিঝড়ের কথায় বহু বাসিন্দাই ভয় পান। আমি এটাও জানি, বহুতলগুলো তাই বাড়তি যত্ন নিয়ে তৈরি, যাতে সমস্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাসিন্দারা সুরক্ষিত থাকেন। তাই একেবারেই ভয় পাচ্ছি না।’’ ৭ তলার বাসিন্দা বলে অনেকেই তাঁকে বলেছেন, ঝড়কে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন তৃণা। অভিনেত্রী যদিও ভুগছেন অন্য দুশ্চিন্তায়। পথের পশুদের বড় দুর্দশা এই সময়। গাছ ভেঙে কত কুকুর, বেড়ালের মৃত্যু হয়। পাখির বাসা ভেঙে যায়। ফুটপাথবাসীদের অবস্থাও একই। ওঁদের কী হবে? এই ভেবেই মনখারাপ তাঁর।