তনুশ্রী ও যশ
টলিউডের তারকাদের নিজেদের জীবিকাই এখন অনিশ্চিত জায়গায় দাঁড়িয়ে। তাতেও সাধ্য মতো সাহায্যের হাত বাড়ালেন বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে।
সারা বছর বেশ কয়েকটি দুঃস্থ পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। আমপান সাইক্লোনে সে সব পরিবারের কারও বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে বা কারও বাড়ি ভেসে গিয়েছে জলে। ‘‘গত বৃহস্পতিবার তাঁদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু গাছ পড়ে থাকায় বেশি দূর এগোতে পারিনি। অন্যের সাহায্যে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছি,’’ বললেন যশ। সেই সঙ্গে তিনি বাকিদেরও এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন।
করোনার পাশাপাশি নতুন বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ির সামনে একটি বিশাল গাছ ল্যাম্পপোস্ট-সহ উপড়ে গিয়েছিল। সেই দৃশ্য দেখে পরদিন সাংসদ বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে গাছ সরাতে অনুরোধ করেন। আবার এলাকায় জল না থাকায় তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগেই তাড়াতাড়ি পাম্প ঠিক করারও আর্জি জানান। তনুশ্রীর কথায়, ‘‘জল এসেছে, গাছও সরানো হচ্ছে। নিজের এলাকার সমস্যা মিটলেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগযোগ করে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াব।’’
মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন অরুণিমা ঘোষ। গড়িয়াহাটের ১১ তলায় অরুণিমার শোয়ার ঘরের জানালার কাচ ভেঙে গিয়েছে। সে সব পরিষ্কার করার পরেই তিনি বুঝতে পারেন, এই পরিস্থিতিতে যাঁদের ছাদটুকু নেই, তাঁদের অবস্থা কতটা সঙ্গিন। ‘‘চোখের সামনে যে সব পরিবারকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখলাম, তাঁদের তুলনায় আমার সমস্যা কিছুই মনে হল না। মাকে নিয়ে চারপাশের অবস্থা দেখতে বেরিয়েছিলাম,’’ বলছিলেন অরুণিমা। গড়িয়াহাটের আশপাশে ঝুপড়িতে থাকা প্রায় ৩০টি পরিবারের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন অরুণিমা।
পশ্চিমবঙ্গের কৃষিপ্রধান এলাকায় ও শহরের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের অর্থদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
এগিয়ে এসেছেন দেবলীনা কুমারও। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় যৌথ ভাবে কাজ করছে, এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় তিনি টাকা দিয়েছেন। আবার অভিনেতা মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে এসেছেন এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পাশে যারা সুন্দরবনের ব্যাঘ্র প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। আমপানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সুন্দরবনের এলাকাবাসী। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে অর্থ সংগ্রহ করতে তিনি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অনলাইনে একটি কনসার্টের আয়োজন করতে চলেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেখানে ক্যাকটাস ব্যান্ডের সদস্য সিধু ছাড়াও গান গাইবেন অনেকেই। সিধু বললেন, ‘‘এখান থেকে পাওয়া অর্থ দান করা হবে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের।’’