নয়ের দশকের গোড়ায় তাঁর দিদি ছিলেন বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা। কিন্তু অভিনেত্রী হিসেবে দিদির কেরিয়ার দীর্ঘ হতে দেয়নি আকস্মিক অকালমৃত্যু। দিদির প্রয়াণের ১৭ বছর পরে তাঁর বলিউডে আত্মপ্রকাশ। তিনি কায়নাত অরোরা।
কায়নাতের আসল নাম চারু দত্ত। জন্ম, ১৯৮৬ সালের ২ ডিসেম্বর। তাঁর বেড়ে ওঠা উত্তরপ্রদেশের সহারানপুরে। প্রাথমিক পড়াশোনা স্থানীয় সেন্ট মেরি স্কুলে। বিএ পাশের পরে কোর্স করেন দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজি থেকে।
বলিউডে আত্মপ্রকাশ ২০১০ সালে ‘খট্টা মিঠা’ ছবিতে, ‘আইলা রে আইলা’ নাচে। এরপর ‘মনকথা’ ছবিতে স্পেশাল ক্যামিও অ্যাপিয়ারেন্স।
২০১৩ সালে ‘গ্র্যান্ড মস্তি’ ছবিতে প্রথম নাম ভূমিকায় অভিনয় কায়নাতের। ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন বিবেক ওবেরয়, আফতাব শিবদাসানি, রীতেশ দেশমুখের সঙ্গে। হিন্দির পাশাপাশি অভিনয় করেছেন তেলুগু ও মালয়লম ছবিতেও।
শাহরুখ খান ও রণবীর কপূরের ভক্ত কায়নাত অভিনয়ের পাশাপাশি ভালবাসেন মডেলিং-ও। শোনা যায়, ছবি পিছু তাঁর পারিশ্রমিক দু’ কোটি টাকারও বেশি।
কায়নাত দিব্যা ভারতীর তুতো বোন। জানিয়েছেন, তিনি দিব্যার ছবি দেখেই বড় হয়েছেন। ‘দিওয়ানা’-র মতো ছবি তাঁর অভিনয়ে আসার অনুপ্রেরণা। ১৯৯৩ সালের ৫ এপ্রিল বিকেলে মুম্বইয়ে নিজের ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন দিব্যা। তাঁর মৃত্যুরহস্যের সমাধান এখনও অধরা।
কিন্তু একইসঙ্গে কায়নাত এও জানিয়েছেন দিব্যা তাঁর দিদি না হলে হয়তো অন্যদিকে সুবিধে হত তাঁর কেরিয়ারে। কারণ তাহলে অন্তত তাঁকে সবসময় তুলনামূলক আলোচনার মুখে পড়তে হত না।
‘জগ্গা জিউনদা ই’ নামে একটি পঞ্জাবি ছবিতে ‘হরলীন মান’ নামে এক পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করছেন কায়নাত। পুলিশের ভূমিকায় তাঁর ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।
সবাই ভেবে ফেলেন সত্যিই হরলীন নামে ওই রকম চোখধাঁধাঁনো সুন্দরী পুলিশ অফিসার নিয়োগ হয়েছেন পঞ্জাবে। ‘ভুল করে’ ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী কায়নাত।
তবে কায়নাতের মানবিক দিকটি অনেকেই জানেন না। ২০১২ সালে তিনি একজন বৃদ্ধাকে দত্তক নিয়েছিলেন। যাতে তাঁর দেখভাল করতে পারেন।