জিৎ
অস্থির সময় অনেকেরই সৃষ্টির নতুন দিশা খুলে দিয়েছে। বিপ্লবের সময়ে সুরকারেরা অমর সঙ্গীত তৈরি করেছেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তৈরি পরিস্থিতি সে সবের চেয়ে অনেকটাই আলাদা বলে মনে করছেন সুরকার জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। লকডাউন হওয়ার পর থেকে তাঁর আন্ধেরির ফ্ল্যাটেই বন্দি শিল্পী। বলছিলেন, “সৃষ্টির জন্য একটা পরিস্থিতি দরকার, এই অস্থির সময়ে মন ভাল করা গান বা রোমান্টিক গান তৈরির ইচ্ছেটাই আসছে না।”
স্তব্ধ ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতি করেছে তাঁর কাজেরও। বেশ কয়েকটি বাংলা ছবিতে সঙ্গীত নির্দেশনার কাজ করছিলেন তিনি। দেবের ‘টনিক’, জিতের ‘বাজি’, যে ছবির জন্য লন্ডনে গান শুট করতে গিয়েও কাজ বাকি রেখে ফেরত আসতে হয় টিমকে। হিন্দিতে রয়েছে ‘বাবলু ব্যাচেলর’, ‘সড়ক টু’। জানালেন, নাম ঠিক না হওয়া আরও দুটো হিন্দি ছবিতে সুর দিচ্ছেন তিনি। তবে সব কিছুই এখন থমকে রয়েছে।
ব্যক্তিগত ভাবে অনেকেই নিজের মতো কাজ করছেন বলে শোনা যাচ্ছে? জিতের কথায়, “কেউ কেউ হয়তো করছে। কিন্তু অধিকাংশই বাড়িতে বসে ছটফট করছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার। এ ভাবে কি কাজ করা যায়? মাথার মধ্যে অজস্র টেনশন! ইন্ডাস্ট্রি পুরো শাটডাউন। ডিপ্রেসিং লাগছে।”
পারতপক্ষে ফ্ল্যাটের দরজাও খুলছেন না জিৎ। নিচে নামা তো দূর অস্ত। চিন্তায় রয়েছেন কলকাতায় থাকা মাকে নিয়েও। বলছিলেন, “মা একটা কাজে কলকাতায় গিয়েছিলেন। ঠিক তার পরপরই লকডাউন ঘোষণা হল। মুম্বইয়ে আমাদের ফ্ল্যাট থেকে বেরোনোর অনুমতিও নেই। কোথাও যেতে হলে বলে কয়ে সই করে যেতে হচ্ছে। এখানে প্রান্তিক জায়গাগুলোয় মানুষ রেশন পাচ্ছেন না। তাঁদের কাছে যাতে চাল-ডাল পৌঁছনো যায়, একদিন তার ব্যবস্থা করতে গিয়েছিলাম। এই পরিস্থিতিতে দিন আনি দিন খাই মানুষেরা সবচেয়ে বেশি সঙ্কটে।” পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রিলিফ ফান্ডে এক লক্ষ টাকা দান করেছেন জিৎ। টলিউডের টেকনিশিয়ানদের জন্য আলাদা ভাবে এক লক্ষ টাকা সাহায্য করেছেন। “সামর্থ্য মতো সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। নইলে আমরা সমস্যার মোকাবিলা করব কী ভাবে!”
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।