কে আপন কে পর
প্রত্যেক দিন ১৪ ঘণ্টার শিফটে গমগম করত যে শুটিং ফ্লোর, সেই ধারাবাহিকের সেট খাঁ-খাঁ করছে এখন। সরকারি নির্দেশ মেনে গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সিরিয়ালের শুটিং। বেশির ভাগ চ্যানেলই কমবেশি ব্যাঙ্কিং নিয়ে এগোলেও শেষ পর্যন্ত রিপিট টেলিকাস্টই ভরসা। তাই শেষ দু’দিনে একটু বেশি করেই শুট করিয়ে রেখেছেন নির্মাতারা। ‘কনক কাঁকন’ ধারাবাহিকের শেষ দিনের শুটে উপস্থিত ছিল পুরো কাস্ট। সেই সময়ে দীর্ঘ দৃশ্য শুট করে রেখেছেন তাঁরা, যাতে পরে তা ব্যবহার করা যায়। কমবেশি দিন সাতেকের ব্যাঙ্কিং নিয়ে এগোচ্ছেন তাঁরা। এই ধারাবাহিকের অন্যতম মুখ্য চরিত্রাভিনেতা সোমা চক্রবর্তী বললেন, ‘‘আমরা তো বড় একটা ছুটি পাই না এমনিতে, তবে এই ছুটি পেয়েও কাজে লাগানো যাবে না। বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারি না তেমন, এই সুযোগে ওদের রান্নাবান্না করে খাওয়াচ্ছি।’’ কাঁকনের চরিত্রের মুখ শ্বেতা ভট্টাচার্যও ঘরবন্দি। ‘‘পাশেই আমার দাদার বাড়ি, বেস্ট ফ্রেন্ডেরও। তাই ওদের বাড়িতে গিয়ে একটু সময় কাটাতে পারছি। তা-ও মা বকছেন,’’ বললেন শ্বেতা।
‘কে আপন কে পর’-এর জবা, ওরফে পল্লবী শর্মা পড়ে পাওয়া এই ছুটি কাটাচ্ছেন নেটফ্লিক্স আর টিভি দেখে। ‘‘আমি তো একাই থাকি। তাই রান্নাবান্না, ঘর পরিষ্কারে মন দিয়েছি এখন,’’ বললেন পল্লবী। শেষ দিন বিশেষ অনুমতি নিয়ে তাঁরা শুটিং করেছেন সকাল ১০টা থেকে পরের দিন ভোর ৬টা পর্যন্ত। এই সিরিয়ালের এপিসোড ব্যাঙ্কিং রয়েছে আগামী ২২ তারিখ পর্যন্ত।
‘আলো-ছায়া’ ধারাবাহিকের দেবাদৃতা বসু ছুটি পেয়ে দু’দিনের জন্য পাড়ি দিয়েছেন হোমটাউন চাকদহে। ‘‘ঠিক করলাম, এই সুযোগে পরিবারের সঙ্গে একটু সময় কাটিয়ে আসি,’’ বললেন অভিনেত্রী। শুটিং বন্ধ, তার উপরে তাঁর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও পিছিয়ে যাওয়ায় একটু মনমরাই হয়ে রয়েছেন দেবাদৃতা। শেষ দিন তাঁদেরও শুটিং করতে হয়েছে ভোর পর্যন্ত। ‘‘শুনেছি আগামী সোমবার পর্যন্ত ব্যাঙ্কিং রয়েছে। শেষ দিনে একটু চাপের মধ্যেই কাজ করেছি। এখন দু’দিনের জন্য বাড়ি এসেছি। এই প্রথম কোনও ছুটিতে এতটা মন খারাপ হচ্ছে,’’ বললেন দেবাদৃতা।
শেষ দিনে ওভারটাইম শুটিং করলেও হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মন খারাপ সকলেরই। টেকনিশিয়ানদের জন্যও চিন্তিত তাঁরা। কত তাড়াতাড়ি ফ্লোরে ফিরবেন, সেটাই আপাতত ভাবাচ্ছে টেলি-তারকাদের।