অমিতাভ বচ্চন
টুইটারে তাঁর পুত্রই প্রথম খবরটা দিলেন বিকেল ৪টে ৪৭ মিনিটে। আর তিনি নিজে টুইট করলেন বিকেল ৫টা ১১-এ। লিখলেন ‘‘আমি কোভিড নেগেটিভ হয়েছি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি এসেছি। এখন একক কোয়রান্টিনে রয়েছি।’’ এই টুইটের সঙ্গে হাসিমুখে হাতজোড় করা নিজের একটা ছবিও পোস্ট করলেন অমিতাভ বচ্চন। ছবির উপরে বড় বড় অক্ষরে হিন্দিতে লেখা ‘ধন্যবাদ’।
হাঁফ ছাড়ল দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা তাঁর ভক্তকুল। গত ২৩ দিনে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের মন্দিরে অমিতাভের ছবি কোলে নিয়ে যাঁরা যজ্ঞ করেছেন, কিংবা রক্ত দিয়েছেন কলকাতার ‘অমিতাভ বচ্চন মন্দিরে’। পুরীর সমুদ্রতীরে তাঁর আরোগ্য কামনায় বালি-ভাস্কর্য গড়েছিলেন শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক। সব দেখে প্রবীণদের কারও কারও মনে পড়েছিল ১৯৮২ সালে ‘কুলি’ ছবির সেটে গুরুতর আহত হয়ে অমিতাভের প্রাণসংশয়ের সময়ে তাঁর জন্য দেশজোড়া প্রার্থনার কথা।
আজ তাই সবাইকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ৭৭ বছরের অভিনেতা। টুইটারে লিখেছেন, ‘‘সর্বশক্তিমানের করুণা, মা-বাবুজির আশীর্বাদ, কাছে-দূরের বন্ধু ও ফ্যানেদের প্রার্থনা-দোয়া এবং নানাবতী হাসপাতালের অসাধারণ সেবার জন্যই আমি আজকের দিনটা দেখতে পেলাম।’’
গত ১১ জুলাই রাত ১১টার পরে অমিতাভের করা একটা টুইটে চমকে উঠেছিল গোটা দেশ। সে দিন সমাজমাধ্যমে অমিতাভ নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি কোভিড পজ়িটিভ। একটু পরে পুত্র অভিষেক জানান, করোনায় সংক্রমিত তিনিও। সেই রাতেই মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি হন পিতা-পুত্র। কিছু দিন পরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে অভিষেকের স্ত্রী ঐশ্বর্যা এবং কন্যা আরাধ্যার। তাঁরা ইতিমধ্যেই সেরে উঠেছেন।
আজ বিকেলের টুইটে অভিষেক লেখেন, ‘‘বাবার সাম্প্রতিক কোভিড পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি বাড়িতে বিশ্রাম নেবেন। তাঁর উদ্দেশে আপনাদের প্রার্থনা ও শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ।’’ অভিষেক নিজে অবশ্য এখনও সুস্থ নন। আরও একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত কিছু কো-মর্বিডিটির কারণে আমি এখনও কোভিড-১৯ পজ়িটিভ এবং হাসপাতালেই রয়েছি। আপনাদের প্রার্থনায় আমি অভিভূত। আমি এটাকে (করোনা) হারিয়ে আরও সুস্থ হয়ে ফিরে আসব। কথা দিলাম।’’