Samantha Ruth Prabhu

‘সামান্থা-নাগা চৈতন্যের বিচ্ছেদের আসল কারণ কেউ জানে?’, নিজের বিতর্কিত মন্তব্যে অনড় কংগ্রেস নেত্রী

ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে খবর যাচাই করেই তিনি প্রাক্তন তারকা দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে মন্তব্য করেছেন বলে দাবি সুরেখার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ১১:১৪
Share:
Congress leader Konda Surekha again commented on Samantha Ruth Prabhu and Naga Chaitanya\\\\\\\\\\\\\\\'s divorce

(বাঁ দিকে) কোন্ডা সুরেখা, সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্য (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

রাজনৈতিক বিতর্কে নাম জড়িয়েছে সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্যের। কংগ্রেস নেত্রী তথা তেলঙ্গানার পরিবেশমন্ত্রী কোন্ডা সুরেখা বুধবার দাবি করেন, রাজনৈতিক কারণে দম্পতির বিচ্ছেদ হয়েছিল। তাঁর মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। নাগা চৈতন্যের পরিবারের তরফ থেকে আইনি পদক্ষেপেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, নিজের মন্তব্য ফিরিয়ে নিতে নারাজ সুরেখা। বরং ফের সামান্থা ও নাগা চৈতন্যের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে মন্তব্য করলেন তিনি।

Advertisement

সামান্থা ও নাগা চৈতন্যের বিচ্ছেদ ঠিক কী কারণে হয়েছিল, কেউ জানেন না। ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে খবর যাচাই করেই তিনি প্রাক্তন তারকা দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে মন্তব্য করেছেন বলে দাবি সুরেখার। এই মন্তব্যের জন্য চলচ্চিত্র দুনিয়ায় নিন্দারও শিকার হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী। কিন্তু তার পরেও বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “আমি যা যা বলেছি, সেগুলো ভুল হতে পারে। কিন্তু কেউ জানে না, কেন সামান্থা ও নাগা চৈতন্যের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল। বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে ওঁরা কি কখনও স্পষ্ট কথা বলেছেন? চলচ্চিত্র জগতের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে বিষয়টা জেনেই আমি এই মন্তব্য করেছি।”

ঠিক কী বলেছিলেন কোন্ডা সুরেখা?তেলঙ্গানা বিধানসভার মন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেতা কেটিআর-এর (কেটি রামা রাও) ইন্ধনেই নাকি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে নাগা চৈতন্য ও সামান্থার। নাগার্জুনই নাকি সামান্থাকে কেটিআর-এর কাছে যেতে বাধ্য করতে চাইছিলেন রাজনৈতিক স্বার্থে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সামান্থা নাকি রাজি হননি। এই জন্যই সামান্থা বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে বাধ্য হন।

Advertisement

আত্মপক্ষ সমর্থন করে সুরেখা ফের বলেন, “আমি হয়তো রাগের মাথায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। কিন্তু যা যা বলেছি, সব সত্যি। কিছু লুকোইনি। আমি কেটিআর-কে ছেড়ে কথা বলব না।”

সামান্থা ও নাগা চৈতন্যের উদ্দেশে ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন সুরেখা। কিন্তু কেটিআর-এর বিষয়টি নিয়ে তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরে যাননি।

মূল সমস্যার সূত্রপাত এন কনভেনশন সেন্টার থেকে। এটির মালিকানা ছিল নাগার্জুনের। হায়দরাবাদ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এই বহুতলের একাংশ ভেঙে ফেলে অগস্টে। কেটিআর নাকি বলেছিলেন, এই কনভেনশন সেন্টার ভাঙা হবে না একটাই শর্তে। সামান্থাকে তাঁর কাছে পাঠাতে হবে! কিন্তু শেষ পর্যন্ত সায় দেননি সামান্থা। তার ফলস্বরূপ বিবাহ বিচ্ছেদ। কোন্ডা সুরেখার এই দাবিতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement