ওয়াকিন-রবার্ট
কোনও বড় কাজ হওয়ার আগে অনেক প্রতিভাবান মানুষ সেখানে জড়িয়ে থাকলে দ্বন্দ্ব হওয়া অস্বাভাবিক নয়। অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড জয়ী এবং বিপুল প্রশংসিত ‘জোকার’ ছবির সঙ্গেও জড়িয়ে এমনই দ্বন্দ্বের ঘটনা। ‘জোকার’-এর প্রোডাকশনের সময়ে চিত্রনাট্য পড়া নিয়ে বড় সমস্যা বেধেছিল রবার্ট ডি নিরো এবং ওয়াকিন ফিনিক্সের মধ্যে। ‘জোকার’-এর পরিচালক টড ফিলিপ্সও তেমনই একটি টেবল রিডিংয়ের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু ওয়াকিন সরাসরি সে প্রস্তাবে নাকচ করে দেন। তাতেই সমস্যার সূত্রপাত। রবার্ট সরাসরি ফিলিপ্সকে বলে দেন, ‘‘ওকে বলে দাও যে ও একজন অভিনেতা এবং ওকেই থাকতে হবে। আমি গোটা ছবির গল্প শুনতে চাই এবং সকলে একটা ঘরে একত্রিত হয়ে পড়ব।’’ এমনিতে ফিনিক্স রবার্টের অত্যন্ত পছন্দের অভিনেতা। কিন্তু তাঁর মনে হয় যে, তিনি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অভিনয় করলে তবেই সেরা প্রতিভা উঠে আসে। আর কারও সঙ্গে চিত্রনাট্যের মহড়া দিতে হলে পুরো বিষয়টাই মেকি হয়ে যায়। এর পরে যদিও রবার্টের ম্যানহাটনের বাড়িতে চিত্রনাট্য পড়ার জন্য হাজির হতে হয়েছিল ফিনিক্সকে। কিন্তু, সেখানেও দায়সারা ভাবেই মহড়া সারেন।
পরবর্তী সময়ে এবং ‘জোকার’-এর অভূতপূর্ব সাফল্যের পরে রবার্ট-ফিনিক্স কেউই আর সে দ্বন্দ্বের কথা মনে রাখেননি। বরং একে অপরের প্রতি প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। তবে সিনেমা মুক্তির পরে এটাও স্পষ্ট যে, মহড়া হলেও তার আঁচ কিন্তু ফিনিক্সের অভিনয়ে লাগেনি। ফাইনাল টেকও স্বতঃস্ফূর্ততায় উতরে দিয়েছিলেন অভিনেতা।
সম্প্রতি ফিনিক্স সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আর্জি জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের জেলে বন্দি থাকা কয়েদিদের মুক্ত করে দেওয়ার। তিনি বলেছেন, ‘‘করোনাভাইরাস যে হারে ছড়াচ্ছে, সেখানে জেলে যদি এটা ছড়ায়, তা সুখকর হবে না। কেউই চায় না জেলে মরতে।’’ প্রসঙ্গত, ফিনিক্স বরাবরই অভিনয় ছাড়াও নানা সেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে।
আরও পড়ুন: চিংড়ি সংবাদ