আরজি কর-কাণ্ডে সরব নীনা। গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ।
নীনা গুপ্ত যে তাঁর কর্মজীবনে ‘কাস্টিং কাউচ’-এর শিকার হয়েছিলেন তা তাঁর বইয়ে উল্লেখ করেছেন। নীনার দাবি, তাঁকে হোটেলে রাত কাটানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন এক প্রযোজক। অভিনেত্রী তাঁর জীবনে যা-ই করছেন, তা চেনা ছকের বাইরে। এ বার আরজি কর-কাণ্ডে কর্মরতা মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। অন্য দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে উত্তর চাইলেন সরকারের কাছে।
আরজি কর-কাণ্ডের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে মুম্বইয়েও। একে একে বলিউডের তারকারাও কলকাতার এই ঘটনার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। বিচারের দাবিতে তাঁরাও শামিল হয়েছেন। করিনা কপূর থেকে আলিয়া ভট্ট, রিচা চড্ডা, পরিণীতি চোপড়া, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া সকলেই এক বাক্যে দোষীর শাস্তি চেয়েছেন। বলেছেন ধর্ষণ নিয়ে রাষ্ট্রের দর্শন বদলানোর কথা। এ বার আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদী নীনা বললেন, ‘‘ অপরাধ হয়েছে বুঝলাম। কিন্তু অপরাধ ঠেকানোর তো একটা ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজন পড়লে মহিলা সুরক্ষার জন্য নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে। উনিশ থেকে বিশ হলেই লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে।’’
যদিও পরমুহূর্তেই নীনা মেনে নিয়েছেন, নজরদারি বিষয়টি খুব সুরক্ষিত পন্থা নয়। লিখেছেন, ‘‘আসলে নজরদারির বিষয়টা খুব সুরক্ষিত নয়। একজন মহিলা যদি গ্রামের পথ দিয়ে হেঁটে অনেক দূর কর্মস্থলে যান, সেটাও তো সুবিধের নয়। আসলে ভেবে ভেবে কোনও উপায় দেখতে পাচ্ছি না।’’ কলকাতার এই মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে কেন্দ্রের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পকে টেনে এনেছেন তিনি। অভিনেত্রী বলেছেন, ‘‘ একজন মেয়েকে পড়াশোনা করালে শিক্ষিত করে তোলার পরে সে কাজে যাবেই। কিন্তু সে তো নিজের কর্মক্ষেত্রেই সুরক্ষিত নয়। আমি জানতে চাই এটার থেকে বাঁচার উপায় কী।’’