গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে তাঁর বিবাহের আমন্ত্রণপত্র দিয়ে এসেছিলেন তৃণা সাহা। সনির্বন্ধ অনুরোধ করেছিলেন, যাতে বৃহস্পতিবার বিয়ের দিন তাঁর প্রিয় ‘দিদি’ গিয়ে তাঁকে এবং তাঁর স্বামী নীলকে আশীর্বাদ করেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর জীবনের বিশেষ দিনে তাঁর ইচ্ছেপূরণ করবেন ‘দিদি’। নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করতে মমতা তপসিয়ার ‘গ্রিন অর্কিড’-এ যাবেন বলেই দুপুর পর্যন্ত সূত্রের খবর। সেখানেই বসছে নীল ভট্টাচার্য-তৃণা সাহার বিয়ের আসর। ঘটনাচক্রে, নীল ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের হিরো। দিদি তাঁদের আবদার রাখতে পারেন, এই আশায় আপাতত উচ্ছ্বসিত বর-কনে।
মমতা নিজের হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের পছন্দের ধারাবাহিক দেখেন। টেলিপাড়ার সাধারণ অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে তারকাদের নাম এবং তাঁরে অভিনীত চরিত্র সম্পর্কেও তিনি ওয়াকিবহাল। কাজের চাপে নির্দিষ্ট সময়ে টেলিভিশনে ধারাবাহিক না দেখতে পারলেও ওয়েব মঞ্চে মমতা দেখে নেন তাঁর পছন্দের ধারাবাহিক। লকডাউনের মধ্যে গত অগস্ট মাসে শুরু হয়েছিল ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’। কোভিড অতিমারির কালো সময় বাংলার এক হাসিখুশি যৌথ পরিবারের মজা-খুনসুটি-ভালবাসা মেশানো গল্প নিয়ে তৈরি ওই ধারাবাহিক শুরু থেকেই মন জয় করেছিল দর্শকদের। সেই মুগ্ধ দর্শকের তালিকা থেকে বাদ পড়েননি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি ‘হটস্টার’-এ দেখেছএন ‘খড়কুটো’-র বিভিন্ন পর্ব। সেই ধারাবাহিকের সূত্রেই মূলত তৃণাকে চিনেছিলেন মমতা। রাজ্যের প্রধান প্রশাসকের যে তাঁর অভিনয় পছন্দ, তা কানে পৌঁছেছিল তৃণার। সে জন্যই সাহস করে তাঁর বিবাহে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর এবং নীলের সেই আশা পূরণ হতে চলেছে বলেই খবর। শেষ মুহূর্তে কোনও বিশেষ কাজ না পড়লে মমতার যাওয়ার কথা নীল-তৃণাকে আশীর্বাদ এবং শুভেচ্ছা জানাতে।
ঘটনাচক্রে, টেলিভিশনের পর্দায় ধারাবাহিকে কিছুদিন আগেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছে সৌজন্য (কৌশিক) এবং গুনগুন (তৃণা)। আপাতত হানিমুন, হইহুল্লোড় নিয়েই দিন কেটে যাচ্ছে তাদের। ‘রিল’-এর মতো এ বার বাস্তব জীবনেও ‘মিস’ থেকে ‘মিসেস’ হতে চলেছেন ‘গুনগুন’ তৃণা। ভালবাসার মানুষের সঙ্গে শুরু করতে চলেছেন জীবনের নতুন অধ্যায়। সেই সূচনার সাক্ষী থাকতে চলেছেন তাঁদের প্রিয় ‘দিদি’ মমতা।