বিচারের দাবিতে এ বার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত মহল। ছবি: পিটিআই।
আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে সোমবার পথে নেমেছিলেন বাংলা সঙ্গীত মহল। এ বার এই দাবিতে এক হচ্ছেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও নৃত্য জগতের শিল্পীরা। বুধবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে শুরু তাঁদের জমায়েত। নন্দন থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল মিছিল। কিন্তু সেখানে অনুমতি না পাওয়ায়, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এর সামনে থেকে শুরু হবে। এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন শিল্পীরা। জানান শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী সুপ্রিয় দত্ত।
সুপ্রিয় দত্ত বলেন, “খুবই শান্তিপূর্ণ জমায়েত হচ্ছে। কী মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে আমরা সকলেই জানি। প্রত্যেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। আমরাও শামিল হয়েছি। সেখানে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সেটাই আমাদের চাওয়া।”
আরজি কর-কাণ্ডের পরে নারী নিরাপত্তার জন্য রাজ্য সরকার কয়েকটি ব্যবস্থা নিয়েছে। তার মধ্যে একটি হল, মহিলাদের রাতের শিফ্ট থেকে যথাসম্ভব অব্যাহতি দিতে হবে। এর পরেই সমাজমাধ্যমে নানা প্রশ্ন ওঠে। মহিলাদের কর্মসংস্থানেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অনেকে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানও রাতে হয়ে থাকে। তাই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত মহলের জমায়েতে এই বিষয়টিরও বিরোধিতা করা হবে। সুপ্রিয় বলেন, “আমরা কি ক্রমশ ওই মধ্যপ্রাচ্যের দেশের মতো হয়ে যাব? এর পরে তো বলা মেয়েদের বোরখা বা ঘোমটা পরে ঘুরে বেড়াতে বলা হবে। তাই রাতের শিফ্টে মেয়েদের নিষেধাজ্ঞা নিয়েও প্রতিবাদ থাকবে।”
দু’দিন আগেই বাংলার সঙ্গীতশিল্পীরা রাস্তায় নেমে স্লোগান তোলার পাশাপাশি গানও গেয়েছিলেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতমহলও কি গান গাইবে? এই প্রসঙ্গে সুপ্রিয় বলেন, “আমাদের পূর্বপরিকল্পিত কিছুই নয়। হাঁটব ও বিচারের দাবি তুলব।”
এ দিনের মিছিলে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতমহল থেকে থাকবেন শুভজ্যোতি গুহ, কল্যাণজিৎ দাস, বিষ্ণুপ্রিয়া চক্রবর্তী, রাগেশ্রী দাস, বর্ণেন্দু মণ্ডল প্রমুখ।