হৃতিক রোশন এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘ফাইটার’ ছবির গানের নৃত্য পরিচালনা করেছেন বস্কো। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে একটি হিন্দি ছবি তৈরির প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন অসংখ্য মানুষ। ছবি সুপারহিট হয়। কিন্তু নেপথ্য শিল্পীদের সিংহভাগের অবদানের কথা জানতে পারেন না দর্শক। এই বিষয়ে এ বার হতাশা প্রকাশ করলেন বি-টাউনের প্রথম সারির কোরিয়োগ্রাফার বস্কো মার্টিজ়।
সম্প্রতি হৃতিক রোশন এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘ফাইটার’ ছবির গানের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। এই ছবিতে নৃত্য পরিচালনা করেছেন বস্কো। কিন্তু তাঁর দাবি, এখনকার ছবিতে নির্মাতারা অভিনেতা, পরিচালক এবং গায়ক ছাড়া বাকিদের নাম সেই ভাবে উল্লেখ করা হয় না। হতাশা প্রকাশ করে সমাজমাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন বস্কো। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘‘২২ বছর ধরে কোরিয়োগ্রাফি করছি। কিন্তু এখনও কোনও প্রচারমূলক কাজে কোরিয়োগ্রাফারদের নাম দিতে লড়াই করতে হয়। এই গানগুলোকে সারা দেশের মানুষ উপভোগ করেন।’’ এরই সঙ্গে বস্কো লেখেন, ‘‘আমি নতুন শিল্পীদের অসংখ্য নাচের ভিডিয়ো পোস্ট করি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা যত ক্ষণ না নিজে জোর দিই, তত ক্ষণ কেউ জানতেই পারে না গানের কোরিয়োগ্রাফি কে করেছে।’’
এখানেই শেষ নয়। বস্কোর মতে, সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক এবং গীতিকারদের মতো এ বার কোরিয়োগ্রাফারদেরও সম্মান জানানোর সময় এসেছে। তিনি লিখেছেন, ‘‘আশা করছি আগামী দিনে ছবির পোস্টার থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রচারমূলক উদ্যোগে শিল্পীদের নাম লেখা থাকবে। আশা করি কোরিয়োগ্রাফারেরা এ বার জেগে উঠবেন এবং তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই করবেন।’’
চলতি বছরে ‘পাঠান’, ‘তু ঝুঠি ম্যায় মক্কার’, ‘শেহজ়াদা’-র মতো ছবিতে কোরিয়োগ্রাফি করেছেন বস্কো। বস্কো তাঁর পোস্টে প্রভু দেবা, গণেশ আচার্য, ফরহা খান, বৈভবী মার্চেন্ট, রেমো ডি’সুজ়া এবং টেরেন্স লিউইসের মতো জনপ্রিয় কোরিয়োগ্রাফারদের ট্যাগ করেছেন। বস্কোর প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়তেই ইন্ডাস্ট্রির কোরিয়োগ্রাফারদের একাংশ সমাজমাধ্যমে শিল্পীকে সমর্থন করেছেন। এখন বস্কোর এই প্রতিবাদ প্রযোজক এবং পরিচালকদের চিন্তাভাবনায় কোনও পরিবর্তন আনতে পারবে কি না দেখা যাক।