Ritabhari Chakraborty

Chitrangada-Satarupa: বড়দিনের পার্টিতে করোনায় আক্রান্ত ঋতাভরীর দিদি চিত্রাঙ্গদা, পিছিয়ে গেল বিয়ে

বাড়িতে আয়োজিত পার্টি থেকে কী করে আক্রান্ত হলেন চিত্রাঙ্গদা?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:০৮
Share:

করোনায় আক্রান্ত ঋতাভরীর দিদি চিত্রাঙ্গদা।

বাড়িতেই বড়দিনের পার্টি দিয়েছিলেন শতরূপা সান্যাল। রাতভর আনন্দে মেতেছিলেন সান্যাল পরিবারের দুই কন্যে চিত্রাঙ্গদা, ঋতাভরী। সঙ্গে সহকারী মধুজা ভৌমিক, তাঁদের বন্ধু-বান্ধব এবং শতরূপা স্বয়ং। সেই আনন্দ দু'দিনের মধ্যে যে চরম নিরানন্দের কারণ হবে, ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালকের আফশোস, ‘‘৯ জানুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা আমার বড় মেয়ে চিত্রাঙ্গদার। সব আয়োজন সারা। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সেই বিয়ে স্থগিত।’’

Advertisement

ইতিমধ্যেই নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেছেন ঋতাভরীর দিদি। শতরূপা জানিয়েছেন, কোভিড পজিটিভ ঋতাভরীর সহকারী মধুজাও। হাল্কা গলাব্যথায় ভুগছেন তিনি নিজেও।

যেহেতু শতরূপা প্রবীণ নাগরিক, তাই চিত্রাঙ্গদার পরে তিনি, ঋতাভরী-সহ পরিবারের বাকিরাও কোভিড পরীক্ষা করিয়েছেন। ফলাফল এখনও জানা যায়নি।

বাড়িতে আয়োজিত পার্টি থেকে কী করে আক্রান্ত হলেন চিত্রাঙ্গদা? পরিচালক-অভিনেত্রীর দাবি, রাতভর পার্টির পরেই গলা ব্যথা শুরু হয় তাঁর বড় মেয়ের। জ্বরও আসে। এর মধ্যেই জানতে পারেন, তাঁদের পার্টিতে আসা দুই মেয়ের এক বন্ধু করোনা আক্রান্ত ছিলেন। সে কথা জানার পরেই চিত্রাঙ্গদার কোভিড পরীক্ষা হয়। ফলাফল ইতিবাচক আসতেই তিনি নিজেকে সরিয়ে নেন সবার থেকে।

Advertisement

শতরূপার কথায়, ‘‘মাথাব্যথা বা গলাব্যথা ছাড়া ওর আর কোনও সমস্যা নেই। স্বাদ, গন্ধ সবই আছে। তবে ঘর থেকে একেবারেই বেরোচ্ছে না। ফোনে আমার থেকে সব জেনে নিচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলছে।’’ শরীরে সামান্য অস্বস্তি থাকায় শতরূপা ঠিক করেছেন, তিনিও নিজের ঘরে স্বেচ্ছাবন্দি থাকবেন।

তাঁর মতোই মনখারাপ চিত্রাঙ্গদার হবু শ্বশুরবাড়ির। দুই বাড়িরই কেনাকাটা সারা। শতরূপা জানিয়েছেন, মধুজা-ঋতাভরী আর তাঁদের বন্ধুরা মিলে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য নিয়মিত মহড়া দিচ্ছিলেন। সব আচমকা থেমে গিয়েছে। চিত্রাঙ্গদার হবু শাশুড়ির মতে, সংক্রমণের কথা লুকিয়ে বিয়ের আয়োজন না করাই শ্রেয়। এতে রোগ ছড়িয়ে যাবে বহু জনের মধ্যে। হবু বউমার সুস্থতাই আপাতত কাম্য তাঁর। চিকিৎসকেরা বলছেন, মার্চ-এপ্রিল নাগাদ রোগের প্রকোপ কমবে। তখনই হয়তো চার হাত এক হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement