মুম্বইয়ের মাতুশ্রীতে ঠাকরে পরিবারের সঙ্গে সানির পরিবার। ছবি সংগৃহীত।
স্টার কিডদের ক্ষেত্রে বলা হয়, জন্ম থেকেই তাঁদের শরীরে অভিনয়ের রক্ত বইছে। কিন্তু মুম্বইয়ের বস্তির ওই ছোট্ট ছেলেটা হয়তো এই যুক্তিকেই চ্যালেঞ্জ জানাল। সানি পওয়ার, বিশ্বের চলচ্চিত্র জগৎকে এই মুহূর্তে ভাবাচ্ছে। অস্কারের দর্শকাসনে কমেডিয়ান জিমি কিম্মেল থেকে অভিনেতা অ্যান্ড্রিউ গারফিল্ড অবধি সক্কলে সানিকে কোলে তুলে নিয়েছিল। আর মুম্বই বিমানবন্দরে ছেলে আসা মাত্রই লাগেজের ট্রলির উপর বসিয়েই বাবা দিলীপ পওয়ার অভ্যর্থনা জানাল সানিকে।
বাড়ি ফিরেই ডাক আসে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের তরফ থেকে। উদ্ধব ঠাকরে পুত্র আদিত্য, সানিকে দেখা মাত্রই কোলে তুলে নেন। সানির হাতে একটা বিরাট ফুলের তোড়াও তুলে দেন আদিত্য। উদ্ধব ঠাকরে যখন সানিকে প্রিয় অভিনেতার কথা জিজ্ঞেস করেন, সানি উত্তর দেয়, “অজয় দেবগন, হৃতিক রোশন এবং রজনীকান্ত আমার প্রিয়।” পাশাপাশি এ-ও জানায় যে, সে এখন অভিনয় করতে খুবই ভালবাসে।
আরও পড়ুন- অস্কার মঞ্চে সকলের মন জয় করল সানি
বিমানবন্দরে তখন বহু মানুষের ভিড়। সানির পরিবারের লোকজন ছাড়াও অনেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন-অস্কার ফেরত ছেলেটার চালচলনের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে। লাল টিশার্ট এর উপর কোট পরে ছেলেটার একটাই জিনিস নজর কাড়ছিল। আর তা হল ছোট্ট অভিনেতার উত্তেজনা আর উদ্দীপনা। মিডিয়া ছেঁকে ধরে সানিকে একের পর এক প্রশ্ন নিয়ে। সপ্রতিভ সানির উত্তর, “অস্কারের মঞ্চে পা রাখতে পেরে আমি খুব খুশি। পড়াশোনা তো করবই, সঙ্গে আমার অভিনয়টাও চালিয়ে যেতে চাই।”
বাঁদিকে কমেডিয়ান জিমি কিম্মেলের কোলে সানি পাওয়ার। ডানদিকে অভিনেতা অ্যান্ড্রিউ গারফিল্ডের সঙ্গে সানি। ছবি সংগৃহীত।
সানির পরিবার বেজায় খুশি। সানির দাদু বলেন, “আমি এখনও সিনেমাটা দেখিনি। আমার বাকি নাতি-নাতনিরা সক্কলে দেখে ফেলেছে। সানি ফিরেছে, এবার ওর সঙ্গে বসেই লায়ন দেখব।”