‘ছোটদের সৌমিত্র’ অনুষ্ঠানের পোস্টার
অতিমারিতে স্কুল যাওয়া বন্ধ। তা বলে সাংস্কৃতিক চর্চা থেকে বিরত থাকবে স্কুলের পড়ুয়ারা? না, আর সেই উদ্দেশ্যেই আয়োজিত হল ‘ছোটদের সৌমিত্র’। অতিমারির জন্য স্কুলে স্কুলে গিয়ে ‘সোনার কেল্লা’, ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’, ‘হীরক রাজার দেশে’, ‘পাতালঘর’-এর মতো ছবি দেখানোর সুযোগ এখন নেই। তাই অনলাইনে সেগুলি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন শর্মিলা ঠাকুর, গৌতম ঘোষ, অতনু ঘোষ, রূপক সাহা ও সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। কলকাতার ২০টি স্কুলের ১০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে। বিদেশের বাঙালী ছাত্র-ছাত্রীরাও এতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার ও শংসাপত্র দেওয়া হবে।
শুধু তাই নয়, চলবে প্রতিযোগিতা, নানা ধরনের সৃজনশীল খেলাধুলো। যাতে ছবি দেখায় আরও আগ্রহ তৈরি হয় ছেলেমেয়েদের মধ্যে।
অনুষ্ঠানটি চলবে ১৮ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন সৌমিত্র-কন্যা অভিনেত্রী ও পরিচালক পৌলমী বসু, অতনু ঘোষ,অমিতাভ নাগ এবং রূপক সাহা।
স্কুল পর্যায়ে শিক্ষা ও সিনেমার মেলবন্ধন ঘটানোর তাগিদে এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন বেঙ্গালুরু-নিবাসী কৌশিক চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘‘চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (সিএফএসআই)-র কাছে প্রস্তাব রেখেছিলাম। তা গ্রহণ করা হয়। প্রথম বছর অবশ্য নাম ছিল ‘সিএফএসআই বেঙ্গলি চিলড্রেনস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’। অনুষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতার ২০টি স্কুলে।’’ প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫টি স্কুলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা ছবি দেখানো হয়। কখনও সত্যজিৎ রায়, কখনও বা সন্দীপ রায়ের ছবি, কখনও ঋতুপর্ণ ঘোষ, কখনও আবার তপন সিংহের ছবি দেখানো হয়।