তুষার
বড় প্রজেক্টের অংশ হলেও অনেক সময়েই নজরে আসেন না প্রতিভাবান অভিনেতারা। কিন্তু কখন কোন চরিত্র কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেবে, তা বলা মুশকিল। অভিনেতা তুষার পাণ্ডের কেরিয়ারে ‘ছিছোরে’ এমন একটি ছবি। এই ছবির পরে পাল্টে গিয়েছে অভিনেতার জীবন। সম্প্রতি তিনি কলকাতায় এসেছিলেন সৌম্যজিৎ মজুমদারের ছবি ‘হোমকামিং’-এর ডাবিং ও প্যাচ শুটের জন্য। ‘‘ফেব্রুয়ারিতে একটি শিডিউলের জন্য কলকাতায় এসেছিলাম। তবে এই ছবির শুটিংয়ের আগেও বারকয়েক এই শহরে এসেছি। পুজোর সময়ে এসেও অতিমারির জন্য কলকাতার পুজো দেখা মিস করছি,’’ আক্ষেপ অভিনেতার কণ্ঠে।
ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার প্রাক্তনী তুষার লন্ডনেও অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে দেশ-বিদেশে নাটকের শো করেছেন। সুজিত সরকার প্রযোজিত এবং অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী পরিচালিত ‘পিঙ্ক’-এ ছিলেন তিনি। রাজশ্রী প্রোডাকশনসের ‘হম চার’-এ মুখ্য চরিত্রে ছিলেন। তবে ‘ছিছোরে’-এর ‘মাম্মি’ চরিত্রটির মতো খ্যাতি আগে পাননি। ‘‘আসলে আমি কাজের গুণগত মানে বিশ্বাস করি। তাই খুব বেছে বেছে কাজ করি। আমার পেশায় কাজের সংখ্যাও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কোনটা ক্লিক করবে, তা হলফ করে বলা যায় না। ‘ছিছোরে’-এর অডিশনের তিন-চার মাস পরে ডাক পেয়েছিলাম। ভাবিওনি ডাক পাব,’’ স্মৃতি রোমন্থন তাঁর।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে কাজের সুযোগ তুষারের কাছে বড় পাওনা। তবে অভিনেতার মৃত্যু সম্পর্কিত বিতর্ক এড়িয়ে গেলেন তুষার। ‘‘যে বিষয়ে আমার কাছে সম্পূর্ণ তথ্য নেই, তা নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। তবে সুশান্তের সঙ্গে স্মৃতি সততই সুখের। আমার মতো অনেক নবাগতকেই ও ইনস্পায়ার করেছে। শুটিংয়ে ভাল সময় কাটিয়েছি ওঁর সঙ্গে,’’ অল্প কথায় সারলেন তিনি।
ছবির পাশাপাশি প্রকাশ ঝা পরিচালিত ওয়েব সিরিজ় ‘আশ্রম’-এ অভিনয় করেছেন তুষার। হাতে রয়েছে বেশ কিছু প্রজেক্ট। তবে কেরিয়ারে প্রথম হওয়ার তাড়া নেই তাঁর। ‘‘অভিনয় একটা ক্রাফ্ট। সেটা আমি জানি। তাই ভাল ভাল পরিচালক, শিল্পীর সঙ্গে কাজ করতে চাই, যাঁরা আমাকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দেবেন,’’ মত তাঁর।
সৌম্যজিতের ছবিতে তিনি বাংলায় সংলাপ বলেছেন। ‘‘অনেকে বলেন, আমাকে দেখতে বাঙালিদের মতো। বাংলা ভাষা শেখা কঠিন নয়। ছবিতে আমার সংলাপও আছে বাংলায়। কলকাতা এই ছবির প্রাণ। তবে ইংরেজি ও হিন্দি ভাষাতেও ছবিটি হচ্ছে। তাই বৃহত্তর দর্শকের কাছেও এই ছবির গুরুত্ব থাকবে,’’ বললেন অভিনেতা।