তাঁরা দিদি ও ভাই

অমর্ত্যর টিপ্পনী, ‘‘আশা করি, সেই জিন আমিও পেয়েছি।’’

Advertisement

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০০:৫৩
Share:

ছবি: দেবর্ষি সরকার

ছেলে অমর্ত্যের (রায়) পাশে চৈতী ঘোষালকে দেখে ‘দিদি’ বললে অত্যুক্তি হয় না। অফস্ক্রিন যে কথা তাঁরা বারবার শুনতে অভ্যস্ত, অনস্ক্রিন সেটাই সত্যি হবে। চৈতীর বোন মিতালি ঘোষালের প্রথম হিন্দি ছবি ‘টোয়েন্টি টু ইয়ার্ডস’-এ দিদি-ভাইয়ের চরিত্রে চৈতী-অমর্ত্য। ‘‘অনেক বান্ধবী বলে, তোর মাকে দেখতে কী সুন্দর! সেটা ভালই লাগে। আর মায়ের চুল তো সবচেয়ে সুন্দর,’’ বলছিলেন অমর্ত্য। ছেলে মায়ের গুণমুগ্ধ হলেও পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকার জন্য চৈতী বললেন, ‘‘বাবি, সব ছেলেমেয়েরই মনে হয়, তাঁদের মা সবচেয়ে সুন্দর। চেহারা ধরে রাখার ক্রেডিট অবশ্য মা-বাবার প্রাপ্য।’’ অমর্ত্যর টিপ্পনী, ‘‘আশা করি, সেই জিন আমিও পেয়েছি।’’

Advertisement

এই ছবিতে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন অমর্ত্য। ‘‘ভয় পেয়েছিলাম। তবে মা বলে, ভয়টা যত দিন থাকবে, তত দিনই ভাল।’’ চৈতীর সংযোজন, ‘‘পাঁচ বছর বয়সে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। এত বছর পরেও যে কোনও পারফরম্যান্সের আগে আমার হাত ঠান্ডা হয়ে যায়। না হলে তা নিয়ে টেনশন হয়।’’ চরিত্রের জন্য বন্ধুদের সঙ্গেও দূরত্ব রাখতে হয়েছে অমর্ত্যকে, ‘‘ছবিতে আমার প্রথম কয়েকটা শট আপনভোলা, বিষণ্ণ প্রকৃতির। ওই ‘লস্ট’ অভিব্যক্তি ফোটানোর জন্য একা একা থাকতাম আমি।’’

পড়াশোনার জন্য পুণেবাসী চৈতীর ছেলে। ‘‘বাড়িতে একটা কর্নার আছে, যেখানে সন্ধেবেলা মায়ের সঙ্গে গল্প করতাম। ওটা খুব মিস করি।’’ ছেলের কথা শুনে আনমনা হয়ে যান চৈতীও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement