ব্যক্তিজীবন নিয়ে মুখ খুললে অনেককে জেলে থাকতে হত: সোনামণি

তিনি কি বিবাহিত? নাকি তাঁর বিয়েই হয়নি! টলিপাড়ায় ‘মোহর’-এর টিআরপি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ধারাবাহিকের নায়িকা সোনামণি সাহার ‘ম্যারিটাল স্টেটাস’ ঘিরেও উত্তপ্ত টলিপাড়া।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:২৪
Share:

গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

তিনি কি বিবাহিত? নাকি তাঁর বিয়েই হয়নি! টলিপাড়ায় ‘মোহর’-এর টিআরপি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ধারাবাহিকের নায়িকা সোনামণি সাহার ‘ম্যারিটাল স্টেটাস’ ঘিরেও উত্তপ্ত টলিপাড়া।

Advertisement

২০১৯-এর ১৭ ডিসেম্বর আনন্দবাজার ডিজিটালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সোনামণি সাহা স্পষ্টত অন্য তথ্য জানিয়েছিলেন। তাঁর বিয়ে কত দিন হয়েছে? আনন্দবাজার ডিজিটালের এই প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন, “এই ডিসেম্বরে থার্ড ইয়ার হল। আমার বাবার বাড়ি তো অবশ্যই, বিশেষ করে শ্বশুরবাড়ির মানুষ এবং আমার বরের সাপোর্ট ছাড়া কাজ করতে পারতাম না।” তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী শুধু ‘মোহর’ ধারাবাহিক দেখেনই না, তাঁর কী ভুলত্রুটি হচ্ছে সেটাও নিয়মিত আলোচনা করেন। সোনামণিই জানান, তাঁর স্বামী সুব্রত রায়, কোরিওগ্রাফার।

এর বেশ কিছু দিন পরে, ২০২০-র ২২ অগস্ট প্রকাশিত ‘বিবাহিত নায়িকাদের রেটিং বাড়ছে কি টলিপাড়ায়?’ শীর্ষক আনন্দবাজার ডিজিটালের আর এক প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “আমি অবিবাহিত হয়েও বিবাহিতের তকমা গায়ে। কী বলি বলুন তো?’’

Advertisement

ভক্ত থেকে টলিপাড়া, সকলকে এ বার ধন্দে ফেলে দেন সোনামণি।

স্বামী সুব্রত রায়ের সঙ্গে সোনামণি

তা হলে আসল বিষয়টা কী?

“আমরা আজও বিবাহিত। ডিসেম্বরে বিয়ের ৫ বছর হবে। আমাদের অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ, মালদা থেকে ওর অভিনয়ের কথা ভেবেই আমরা কলকাতায় আসি। ফ্ল্যাট কিনি। সব ঠিক ছিল। হঠাৎ লকডাউনে কী যে হল, মালদায় ও মায়ের বাড়ি থাকতে গেল। তার পরে আর ফিরল না। শুধু তাই নয়, আমার ফোন অবধি তোলে না আর। অথচ আমায় না বলে ভাইকে নিয়ে কলকাতার ফ্ল্যাটে গিয়ে নিজের সব জিনিস, বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে চলে গিয়েছে। পাশের বাড়ির মাসিমার কাছে শুনে তো আমি অবাক!” থামলেন সোনামণি সাহার স্বামী সুব্রত রায়। এই মুহূর্তে কী করবেন সেটাও বুঝতে পারছেন না তিনি। “অনেক কিছু করেছি ওর জন্য। আজ আমার মায়ের ফোন অবধি ও ধরে না!” যোগ করলেন তিনি।

ধারাবাহিক ‘মোহর’-এর সেটে ব্যস্ত সোনামণি আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে এ বিষয়ে প্রথম মুখ খুললেন। তাঁর মতে, “এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত বিষয়। এখন আমি সত্যিই সিঙ্গল। আমার স্বামীর সঙ্গে আলাদা আছি। ডিভোর্স ফাইল করেছি। তাই জানিয়েছি আমি বিবাহিত নই।”

পাঁচ বছরের সম্পর্ক স্বামীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করেই ভাঙতে হল? ফোনেই বা স্বামীর সঙ্গে কথা বলছেন না কেন তিনি? সোনামণির সাফ জবাব, “বললাম তো ব্যক্তিজীবন নিয়ে মুখ খুলব না। আর আমি সত্যি যদি মুখ খুলতাম অনেককে জেলে থাকতে হত!” সোনামণি জানান, এক জন মেয়ে অনেক যন্ত্রণা মেনে নিয়ে তার পরই ডিভোর্সের কথা ভাবে!

টেলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে মোহর-শঙ্খ জুটির সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে আছে সোনামণি আর প্রতীকের বাস্তব প্রেম

ডিভোর্সের বিষয়ে সোনামণির স্বামীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। “আসলে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড, নতুন জগৎ, নতুন প্রেমে ও আমায় ভুলে যেতে চাইছে। এক বার তো ফোনটা তুলবে?” ক্ষোভ সুব্রতর গলায়।

কোন প্রেমের কথা বলছেন সুব্রত? টেলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে মোহর-শঙ্খ জুটির সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে আছে সোনামণি আর প্রতীকের বাস্তব প্রেম। সোনামণি অবশ্য হেসে বলেন, “ফ্লোরে আমি আর প্রতীক অন্য রকম ভাবে মিশি। প্রতীক খুব রিজার্ভ। কথা বলে না। অন্য ধারবাহিকের নায়ক-নায়িকারা যেমন একে অন্যের সঙ্গে গল্প করে খোলাখুলি কথা বলে আমরা করি না বলেই লোকে আমাদের নিয়ে এ সব গল্প বানায়। প্লিজ বিয়ে, প্রেম এই গুজবগুলোকে গুরুত্ব না দেওয়াই ভাল। প্রতীকের জন্য আমারস্বামীর সঙ্গে সেপারেশন হয়নি। ” ফ্লোরে শট দিতে চলে যান সোনামণি, যিনি এখন আলাদা ফ্ল্যাট নিয়ে থাকছেন।

সোনামণি সিঙ্গল হয়েই আপাতত এই ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে চান। ডিভোর্স ফাইল করে সেটাই বুঝিয়ে দিলেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement