সাহানা বাজপায়ী, সুবোধ সরকার, অরিন্দম শীল।
১৯১৮, না ১৯২১ সালের ৮ পৌষ জন্মদিন বিশ্বভারতীর? সেই তর্ক থাক। খাতায়-কলমে হিসেব বলছে, বিশ্বকবির সাধের প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষ। সেই উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা-ভাবনাকে পটভূমিকায় রেখে তৈরি হয়েছে তথ্যচিত্র ‘শতবর্ষ পরে’। তাতে নিজেদের অভিজ্ঞতায় কবির সেই ভাবনার বিভিন্ন আঙ্গিক তুলে ধরেছেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর ও সুদৃপ্ত ঠাকুর। শিক্ষক জীবন ফিরে দেখেছেন মোহন সিং। স্মৃতিচারণে সামিল প্রমিতা মল্লিক, সাহানা বাজপায়ী, স্নায়ুবিজ্ঞানী সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায়।
কেবল স্মৃতি এবং তথ্য সম্ভার একত্রিত করার তাগিদেই কি বিশ্বভারতীকে নিয়ে তথ্যচিত্র? পরিচালনা ও পরিকল্পনা যাঁদের, সেই সাম্য কার্ফা এবং শৌনক চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ১৯২১ সালের ৮ পৌষ দিনটি ঘিরে জানা-অজানা কাহিনি এই প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এই আয়োজন। দুই প্রজন্মের মধ্যে সেতু বাঁধার ইচ্ছেও কাজ করেছে তাঁদের মনে।
একশো বছর আাগে বিশ্বভারতীর সে দিনের সভায় প্রথম অতিথি অধ্যাপক ছিলেন সিলভাঁ লেভি। কয়েক যুগ আগে রবীন্দ্রনাথ এখানেই শুরু করেছিলেন হলকর্ষণ, বৃক্ষরোপণ। সেই ধারা বয়েই এখন স্কুলে স্কুলে পরিবেশ বিদ্যা আবশ্যিক। সে যুগের শিক্ষার আঙ্গিকের পাশাপাশি থাকবে রবীন্দ্র গান ও নাচ। অংশগ্রহণে শিক্ষা প্রাঙ্গণের বহু ছাত্রছাত্রী।
চিত্র পরিচালনায় অপ্রতীম। তথ্যচিত্র প্রযোজনা ও নিবেদনে পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সংস্কৃতি মন্ত্রক, ভারত সরকার। দেখা যাবে ইজেডসিসি-র ইউটিউব চ্যানেলে। উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন প্রমিতা মল্লিক, সুবোধ সরকার, অরিন্দম শীল-সহ বিশিষ্ট জনেরা। শতবর্ষের উদযাপন শুরু হবে শত কণ্ঠে গানে।