আরিয়ান মাদক মামলায় সমীর ওয়াংখেড়ের বাড়িতে তল্লাশি। ছবি: সংগৃহীত।
২০২১ সালের ২ অক্টোবরে মুম্বই উপকূলে একটি প্রমোদতরীতে অভিযান চালায় এনসিবি। সেই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সমীর। সেখান থেকেই মাদক-যোগের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান ও তাঁর সঙ্গীরা। টানা ২৬ দিন জেলে ছিলেন আরিয়ান। অবশ্য জামিনে ছাড়া পাওয়ার হাজিরা দিতে হত শাহরুখ তনয়কে। যদিও পরে তাঁকে ক্লিনচিট দেয় আদালত। তার পরই ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। সমীরের মুম্বই থেকে বদলি হয়ে যায় চেন্নাইতে। দিন কয়েক আগেই সমীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রুজু করে সিবিআই। শুক্রবার রাতে সমীরের বাড়িতে হানা দেয় তাঁরা। প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি চালিয়ে শনিবার ভোর ৫.৩০টা নাগাদ সমীরের বাড়ি থেকে বেরোন তাঁরা।
ভিজিল্যান্স রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তদন্তকারীদের প্রাথমিক তদন্তের পর সমীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, সমীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি বৃদ্ধি করতে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তার পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে মামলা দায়ের করে সিবিআই। সমীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শাহরুখ খানের কাছ থেকেই ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চান প্রাক্তন এই এনসিবি প্রধান। আরিয়ানের জামিন ও তাঁর সঙ্গীদের জামিনের জন্য এই বিপুল অর্থের দাবি জানান বলেই অভিযোগ। শনিবার সকালে প্রায় ১০-১২ জন সিবিআইয়ের আধিকারিক একগুচ্ছ কাগজ ও প্রিন্টার নিয়ে বার হন সমীরের মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে।
এই মুহূর্তে মাদককাণ্ডের দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছেন আরিয়ান। তবে সমীরের জীবনে অবশ্য হচ্ছে উল্টোটাই।